:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
আগামী ২৮ অক্টোবর শনিবার মহাসমাবেশের ভেন্যু নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই থাকবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এই কথা জানান তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ডিএমপি জানতে চেয়েছে ভেন্যু অন্য কোথাও করবো কি না। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, আমাদের ভেন্যু দলীয় কার্যালয়ের সামনেই থাকবে। আর আমরা চিঠি দিয়েছি। তারা চিঠি দিয়েছে, আমরা তার জবাব দিয়েছি। তিনি অভিযোগ করেন, মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গতরাতে প্রায় ১৫০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে ১০টি।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন মিয়ার পাঠানো এই চিঠিতে সমাবেশের জন্য নির্ধারিত স্থান নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বিকল্প আরও দুটি ভেন্যুর নাম প্রস্তাবের অনুরোধসহ আরও কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়।
এই চিঠির উত্তরে বৃহস্পতিবার দুপুরে রুহুল কবির রিজভী পল্টন থানার ওসির কাছে একটি চিঠি পাঠান যাতে বলা হয়েছে, ২৮ অক্টোবরের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নয়াপল্টনে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনেই আয়োজনের সকল প্রস্ততি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। অন্য কোনো ভেন্যুতে যাওয়া সম্ভব হবে না।
চিঠিতে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ সম্পর্কিত যেসব তথ্যের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে সেগুলো হলো- সমাবেশ বেলা ২টায় শুরু হয়ে মাগরিবের আজানের আগে শেষ হবে, সমাবেশে এক লাখ থেকে সোয়া লাখ লোক হতে পারে।
সমাবেশের বিস্তৃতির প্রসঙ্গে বিএনপি বলেছে, সমাবেশটি পশ্চিমে বিজয়নগর মোড় ও পূর্বে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। বিজয়নগর মোড় ও ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত কিছুদূর অন্তর অন্তর মাইক লাগানো হবে। আগামী শনিবারের সমাবেশে বিএনপির নেতারা ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করবেন না। সমাবেশের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দলের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকেরা দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানায় বিএনপি। এসব স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা হবে ৫০০।
বিএনপির চিঠিতে বলা হয়, ‘২৮ অক্টোবরের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নয়াপল্টনের বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনেই আয়োজনের সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। অন্য কোনো ভেন্যুতে যাওয়া সম্ভব হবে না।’