:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় সরকারি বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৯ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে আটজনই নারী শ্রমিক, বাকি ব্যক্তি অটো চালক।
মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে রাজ্যের বীরভূম জেলার মল্লারপুর থানার মেটেলডাঙা গ্রামের কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর। ঘটনার পরেই বাসের চালক ও খালাসি পলাতক।
অটোরিকশা চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফলে বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা।
আজ মঙ্গলবার বীরভূমের তেলডা গ্রামের রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রামপুরহাট থানার পুলিশ। পুরো এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়েছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে মাঠে চাষের কাজ সেরে একটি অটোতে চড়ে রামপুরহাট থানার পারকান্দি গ্রামে ফিরছিলেন আটজন শ্রমিক। তাদের মধ্যে আট জন মহিলা শ্রমিক ছিলেন। অটো রামপুরহাটের দিকে আসছিল। সে সময় সিউড়িমুখী একটি দক্ষিণবঙ্গ পরিবহন সংস্থার একটি বাস ওভারটেক করতে গিয়ে অটোতে ধাক্কা মারে। এতে দুমড়েমুচড়ে যায় অটো। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাস্তার উপর পরে থাকে অটো যাত্রীরা। তাদের উপর দিয়ে বাস চলে যায়। ঘটনাস্থলে চালক সীতারাম হেমরম (২১) ও আট নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে যশোমতী হেমরম (৫০) হাপান কালী বেসরা (৩০) পরিচয় এখন পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে।
মৃত অটো চালকের বাবা সিরু হেমরম বলেন, প্রতিদিন ভোরের দিকে ছেলে অটো নিয়ে মল্লারপুরের কাছে গৌরবাজার যায় নারীদের নিয়ে। সেখানে চাষের কাজ করে তারা। বিকেলে কাজ শেষ হলে পুনরায় তাদের অটোতে নিয়ে বাড়ি ফেরে। এদিন ভোর ৪টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। বিকেলে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিল। ফেরার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আমি এলাকার একটি রাইস মিলে কাজ করি। খবর পেয়ে ছুটে এসে দেখি ছেলের মরদেহ। ছেলেকে প্রথমে চিনতে পারিনি। পোশাক দেখে ছেলেকে চিনতে হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক রায় বলেন, বাসটি মিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে। আমরা ঘটনার তদন্ত করছি।
পশ্চিমবঙ্গে গত কয়েক বছর ধরেই ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ নিয়ে একাধিক কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।মাইকিং, অনুষ্ঠান, পোস্টার-ব্যানারের মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।