:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
পুঁজিবাজারে কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে এমন বেনিফিশিয়ারি ওনার্সধারীদের (বিও) সংখ্যা ১৪ হাজার দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সালের কোটিপতি বিনিয়োগকারীর বিও সংখ্যা ছিলো ২৩ হাজার ১৩৭টি।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিএসইসি ও সিডিবিএলের তথ্য মতে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের পুঁজিবাজারে মোট ১৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯৪৮টি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব রয়েছে। এর মধ্যে ১৪ লাখ ১৫ হাজার ৮৯৫টি বিওধারী বিনিয়োগকারীর বিও হিসাবে শেয়ার রয়েছে। আর বাকি ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩২টি বিওতে কোনো শেয়ার নেই। অর্থাৎ নিষ্ক্রিয় রয়েছে। শুধু তাই নয়, নিষ্ক্রিয় বিও হিসাবগুলোর মধ্যে প্রায় ১ লাখ বিওতে কোনো শেয়ার নেই।
সক্রিয় বিওধারী এ ১৪ লাখ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ১ কোটি থেকে তার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে এমন বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা মাত্র ১৪ হাজার ১৫টি বিওধারী। যা সক্রিয় বিনিয়োগকারীর ১ শতাংশ। লাখ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে এমন বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা লাখের বেশি। এর মধ্যে ১০ লাখের বেশি অর্থাৎ ১ কোটি টাকার কম এমন বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ রয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ১২৫টি।
কোটিপতি বিনিয়োগকারীর বড় অংশই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী। এই শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা ছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানি রয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠানের কোনো কোনোটির হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ রয়েছে।
সিডিবিএলের তথ্য মতে, প্রায় দুই বছর আগে অর্থাৎ ২০২১ সালের ২০ মে পর্যন্ত পুঁজিবাজারে বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ২৬ লাখ ৬০ হাজার ৪৮০টি। এর মধ্যে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৯৯টি বিও হিসাব কখনোই ব্যবহার হয়নি। আর ৮ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯৬টি বিও হিসাবে শূন্য ব্যালেন্স রয়েছে। এ হিসেবে শেয়ার রয়েছে এমন সক্রিয় বিও হিসাবের সংখ্যা হচ্ছে ১৪ লাখ ২৭ হাজার ১৮৫টি।
সক্রিয় ১৪ লাখ ২৭ হাজার বিওধারী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ২৩ হাজার ১৩৭টি বিও হিসাবে বিনিয়োগ ছিল এক কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে এক কোটি থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত পোর্টফোলিও মূল্য ছিল এমন বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ১৯ হাজার ৭০০টি, যাদের বেশিরভাগই ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারী। আর ৫ কোটি ১ টাকা থেকে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ মূল্য থাকা পোর্টফোলিওধারীর সংখ্যা ২ হাজার ২১২টি। এছাড়া পুঁজিবাজারে ১০ টাকার বেশি বিনিয়োগ থাকা এমন পোর্টফোলিওধারীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২২৫টি।