:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যেতে বাধা দেয়া হয়েছে।
সকালে রাজধানীর একটি আদালতে হাজির হওয়ার পর ফখরুল সকালে বিজয়নগর মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাকে বাধা দেয়।
পুলিশের কর্মকর্তারা বিএনপির এই নেতাকে বলেন, “আমাদের ক্রাইম সিনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে যেতে দেওয়া হবে না। আমাদের পুলিশের ওপর সেখান থেকে বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। আমরা সেই জায়গাটিকে ‘প্লেস অব অকারেন্স’ হিসেবে বিবেচনা করছি। আমাদের সিআইডি ক্রাইম সিন নিয়ে কাজ করছে। কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে কেউ যেতে পারবে না।”
এ সময় মির্জা ফখরুল পুলিশ সদস্যদের বলেন, ‘আমি আমার কার্যালয়ে যেতে পারব না? এটা কেমন কথা?’ উত্তরে পুলিশকে বলতে শোনা যায়, ‘সরি স্যার, বিএনপি কার্যালয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই।’
ফখরুল বলেন, ‘এটা আমাদের অফিস, আমাদের প্রপার্টি। আমি কেন যেতে পারব না?’
পুলিশ উত্তরে বলে, ‘হতে পারে এটা আপনার অফিস…। আমাদের ক্রাইম সিনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারোরই যাওয়ার অনুমতি নেই। পুলিশের ওপর সেখান থেকে বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। আমরা সেই জায়গাটিকে ‘প্লেস অব অকারেন্স’ হিসেবে বিবেচনা করছি। সিআইডি ক্রাইম সিন নিয়ে কাজ করছে।’
পরে মির্জা ফখরুল সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে পার্টি অফিসে যেতে দেওয়া হলো না।
গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য চক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ‘বিএনপির ১০ তারিখের সমাবেশ নস্যাৎ করতে, গণতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য চক্রান্ত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক দেশের শর্ত হচ্ছে রাজনৈতিক দল তার স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। একজন মহাসচিব যদি তার অফিসেই যেতে না পারে…। এখানে গণতন্ত্র তো দূরের কথা, সভ্য সামাজিক পরিবেশেই বিরাজ করছে না।’
নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় খুলে দেওয়া, গ্রেফতারদের মুক্তির দাবি জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘১০ তারিখের সমাবেশ যেন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় সেজন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’