:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
বাংলাদেশ থেকে বিদেশ ভ্রমণ বাড়ছে। ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভিসা আবেদনের সংখ্যাও। গত বছরের ৯ মাসের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ১৬০ শতাংশ বেড়েছে ভিসা আবেদনের হার।
এই ৯ মাস সময়ে এ আবেদনের হার করোনা মহামারির আগের সময়ের সমান।
বুধবার বিশ্বের বৃহত্তম ভিসা আউটসোর্সিং ও বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক মিশনের জন্য প্রযুক্তি পরিসেবা বিশেষজ্ঞ ভিএসএফ’র এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংস্থাটির দক্ষিণ এশীয় সিওও (চিফ ওপারেটিং অফিসার) প্রবুদ্ধা সেন। এ সময় সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার (কর্পোরেট অ্যান্ড কমিউনিকেশন) সৌভিক মিত্রসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ব্যক্তিগত সেবার সার্বিক গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অপশনাল প্রিমিয়াম লাউঞ্জ গত বছরের ৯ মাসের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৬২ শতাংশ বেড়েছে। কেননা ভ্রমণকারীরা এখন আরামপ্রদ ও তলনামূলক কম অপেক্ষা করতে হয়- এমন ভ্রমণ অভিজ্ঞতা বেছে নিচ্ছেন। অপশনাল ভিসা অ্যাট ইউর ডোরস্টেপের ক্ষেত্রে গত অর্থবছরের তুলনায় এ বছর ৯ গুণ বেড়েছে। এ সেবার আওতায় আবেদনকারীরা ঘবে বা অফিসে বসেই ভিসার সব কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। ভ্রমণমকারীদের গন্তব্য প্রধানত অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। শিক্ষার্থী ভিসার আবেদন মূলত যুক্তরাজ্যেরই বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রবুদ্ধা সেন বলেন, করোনার সময় দুই বছর মানুষ ঘর থেকে তেমন বের হতে পারেননি। ফলে এখন ভ্রমণ চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। এ সময় তিনি জানান, ভিএসফ গ্লোবাল বিশ্বজুড়ে ৬৬টি দেশের জন্য ১৪৪টি দেশে ৩ হাজার ৩০০টিরও বেশি আবেদন কেন্দ্র ও ভিসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২৪৮ মিলিয়নের বেশি আবেদন সফলভাবে প্রক্রিয়া করেছে। ভিএফএফ গ্লোবালের সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জুরিখ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছে বলেও জানান তিনি।