:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জর্ডান সফর বাতিল হয়েছে। গাজার আল-আহলি-আল-আরবি হাসপাতালে বিস্ফোরণে অন্তত ৫০০ ফিলিস্তিনির প্রাণহানির ঘটনায় আন্তর্জাতিক ক্ষোভের মধ্যে আরব নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে তার জর্ডান সফর বাতিল হয়।
জর্ডানে দেশটির বাদশাহ আবদুল্লাহ, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বুধবার বৈঠকের কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি অবশ্য বলেছেন, জর্ডান সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত ‘উভয় পক্ষের সম্মতির’ ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে। ইসরায়েল সফর শেষে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে যাওয়ার কথা ছিল বাইডেনের।
তবে জো বাইডেনের তেল আবিব সফর বাতিল হয়নি। জন কিরবি জানিয়েছেন, ইসরায়েল সফরে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত ‘রুদ্ধদ্বার বৈঠক’ করবেন বাইডেন।
গাজার হাসপাতালে বিস্ফোরেণের ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি ‘সমবেদনা’ জানিয়েছেন বাইডেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি হাসপাতালে ভয়াবহ বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় অন্তত ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অনেকেই হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
ইসরায়েলের উদ্দেশে যাত্রা শুরুর আগে গতকাল এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আল–আহলি আল–আরবি হাসপাতালে ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় আমি ক্ষুব্ধ এবং গভীরভাবে মর্মাহত। ওই ঘটনায় বিপুলসংখ্যক প্রাণহানি হয়েছে।’
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র দ্ব্যর্থহীনভাবে এই সংঘাতে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার পক্ষে রয়েছে। ওই ‘বিস্ফোরণের’ ঘটনায় নিহত রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী ও নিরীহ মানুষের প্রাণহানির মতো মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা শোক প্রকাশ করছি।’
মঙ্গলবার রাতে মধ্য গাজার আল আহলি আরব হাসপাতালে এ হামলা চালানো হয় বলে হামাস জানিয়েছে। হাসপাতালটিতে বিমান হামলায় তিন দিনের শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
এ হামলার ঘটনায় কোনো পক্ষই এখনও দায় স্বীকার করেনি। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, ইসরায়েলি বিমান হামলার কারণে ওই বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, ‘ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ’ নামে একটি গ্রুপের ছোড়া রকেট ভুল করে ওই হাসপাতালে পড়েছে। হামাসের পর দ্বিতীয় শক্তিশালী ওই ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটি অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।