:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
রাজধানীর গুলশান থানার এক যুগ আগের নাশকতার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন-মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) হানিফ, সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার ও বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুম, এম এ আউয়াল খান, মো. রাসেল, মইনুল ইসলাম, বাবুল হোসেন বাবু ও মো. আলমগীর বিশ্বাস।
আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও মেজর (অব.) হানিফকে দণ্ডবিধির দুই ধারায় এক বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এম এ কাইয়ুম, এম এ আউয়াল খান, মো. রাসেল, মইনুল ইসলাম, বাবুল হোসেন বাবু ও মো. আলমগীর বিশ্বাসকে দণ্ডবিধির দুই ধারায় তিন বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে প্রত্যেককে আরও তিন মাসের কারা ভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ১১ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
খালাস পাওয়া ১১ জন হলেন- এমএ কাউয়ুম, মো. দুলাল, তোফায়েল আহম্মেদ ওরফে লিটন, জাহাঙ্গীর শিকদার ওরফে বাবু, আরিফুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, সামসুল হক মিয়াজী, বিপ্লব, খুরশিদ আলম মমতাজ, মোশারফ হোসেন ও মাহাবুব।
এর আগে, গত ২৪ ডিসেম্বর এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ৪ জুন সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে গুলশান থানাধীন মহাখালী ওয়্যারলেস গেট পানির ট্যাংকির সামনে রাস্তার ওপর অবৈধ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে বাধা এবং আক্রমণ করেন আসামিরা। এছাড়া, রাস্তার চলাচলরত গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন গুলশান থানার উপপরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার। পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামালায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালীন ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।