:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
সিলেট নগরের আম্বরখানা বড়বাজার এলাকায় ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল (৪৪) খুন হয়েছেন। রোববার রাত সোয়া আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কামাল জেলা বিএনপির সর্বশেষ কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি সিলেট সদর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন।
রোববার রাতে সাড়ে ৮টার দিকে তার গাড়ি আটকিয়ে একদল দুর্বৃত্ত ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তবে কি কারণে তাকে কে বা কারা খুন করেছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।
সিলেট মহানগর বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মুহাম্মদ মইনুল জাকির কামালের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কী কারণে কামাল খুন হয়েছেন, এটি এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, কামালকে কারা খুন করেছে, এটা জানার চেষ্টা করছেন বিএনপি নেতারা। ১৯ নভেম্বর বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতেই এই খুন কি না, এটাও তাঁরা জানার চেষ্টা করছেন।
বিএনপি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কামাল বড়বাজার এলাকায় ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে প্রাইভেট কারে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় ছয়–সাতটি মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে তাঁর গাড়ির পথ রোধ করে। পরে তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। গুরুতর আহত অবস্থায় কামালকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন দিনার বলেন, নিহত কামাল বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী লীগবিরোধী প্রচার–প্রচারণা চালাতেন। গত দুই সপ্তাহ আগেও তাঁর সঙ্গে বড়বাজারের পাশে চৌকিদেখী এলাকায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কিছু নেতা-কর্মীর কথা–কাটাকাটি হয়।