:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
৫৮ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুণ। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার সাহেদ প্যালেসে আমেনা খাতুনের সঙ্গে মাসুদ অরুণের বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। মাসুদ অরুণ মেহেরপুর জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ভাষা সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য আহম্মদ আলীর বড় ছেলে।
মাসুদ অরুণ ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ২০০১ সালে বিএনপি সরকারের আমলে মেহেরপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আর নববধূ আমেনা খাতুন চুয়াডাঙ্গার আসমানখালী এলাকার বন্দরভিটা গ্রামের মৃত মহাম্মদ আলীর মেয়ে। তিনি স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
বড় ছেলে মাসুদ অরুণ বিএনপির রাজনীতিতে এসে জনসেবা করতে গিয়ে তিনি বিয়ের কথা ভুলে যান। তবে বছরছয়েক আগে মাসুদ অরুণের মা বরুন নেছা মারা গেলে বড় একা হয়ে পড়েন মাসুদ অরুণ। এরপর থেকেই বিয়েতে সম্মত হন তিনি। তবে উপযুক্ত পাত্রী খোঁজা চলছিল। মাসদুয়েক আগে বিয়ের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়। অবশেষে দুপক্ষের ঘটকের মাধ্যমে চূড়ান্ত দেখাদেখি শুরু হয়। এরই মধ্যে সপ্তাহদুয়েক আগে বর ও কনে পক্ষ চূড়ান্ত করে বিয়ের বিষয়টি।
সেই মোতাবেক চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলাধীন গাংনী ইউনিয়নের বন্দরভিটা গ্রামের স্কুল শিক্ষক আমেনা খাতুনের সঙ্গে বিয়ের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয় ৪ নভেম্বর। শুক্রবার সন্ধ্যায় মাসুদ অরুণের ছোট ভাই মাসুদ আহমেদ লিজন ও আফসানা ফেরদৌস ক্যামি দম্পতির চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের কোর্টপাড়াস্থ জিএন টাওয়ারের বাসায় কাবিননামায় স্বাক্ষর করেন সাবেক এমপি মাসুদ অরুণ ও আমেনা খাতুন। পরে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের অভিজাত হোটেল সাইদ প্যালেসে বরযাত্রীরা প্রীতিভোজে অংশ নেন।
বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।