:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের তিন ঘণ্টার চেষ্টায় জুতার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
রোববার (২৭ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে হাজী ফুল মিয়া মার্কেটের তৃতীয় তলায় আগুন লাগে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও মার্কেটের পাদুকা ব্যবসায়ীরা জানান, ভৈরব-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক লাগোয়া ভৈরব উপজেলা পরিষদের সামনে হাজী ফুল মিয়া পাদুকা মার্কেট। এই মার্কেটে পাইকারি দরে পাদুকা বেচাকেনা হয়ে আসছে। তিনতলা বিশিষ্ট মার্কেটটিতে একটি ব্যাংকের শাখাসহ প্রায় দেড় হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয়তলা পাইকারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং তৃতীয় তলায় পাদুকা গুদাম হিসেবে ব্যবহার করেন ব্যবসায়ীরা। ফলে তৃতীয় তলায় মানুষের চলাচলও কম। তবে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে শত শত ব্যবসায়ী ও উৎসুক জনতা ভিড় জমিয়েছেন। ফলে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, রোববার বিকেলে হঠাৎ করে তিনতলা থেকে আগুনের কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। পরে খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করে। কিন্তু সময় বাড়ার সঙ্গে আগুনও বাড়তে থাকে। ভৈরবসহ আশপাশের জেলা ও উপজেলা থেকে আটটি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট একযোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া কীভাবে আগুনের সূত্রপাত কেউ বলতে পারছে না। তবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করছেন দমকল বাহিনীর কর্মকর্তারা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ জেলা দমকল বাহিনীর উপপরিচালক মো. মোবারক আলী বলেন, আমরা এখনও (রাত সাড়ে ৭টায়) আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আগামীকাল তদন্ত শেষে কী কারণে আগুনের সূত্রপাত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কেমন হবে, তা বলা যাবে।