:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
প্রখ্যাত আলেম, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও মুফাসসিরে কোরআন আল্লামা লুৎফর রহমান ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে তিনি মারা যান। নাগরিক নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে তার ছোট ছেলে আবু সালমান মোহাম্মদ আম্মার বলেন, আজ দুপুর ২: ৫৪ মিনিটে আমার বাবা ইন্তেকাল করেছেন।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে তার ব্রেনের অপারেশন করা হয়। তার পর থেকে আর জ্ঞান ফিরেনি মাওলানা লুৎফুর রহমানের।
আল্লামা লুৎফর রহমানের নামাজে জানাজা রাত ৮টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররম মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম মুফতী মহিউদ্দিন কাসেমি।
মরহুম আল্লামার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা নামাজ আগামীকাল সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে রামগঞ্জ উপজেলাধীন গাজীপুর হাই স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল পৌনে ১০টার দিকে তার বাবা রামগঞ্জের করপাড়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এ সময় তিনি মাথা ঘুরে পড়ে গেলে দ্রুত তাকে লক্ষ্মীপুর আধুনিক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. আব্দুল হাইয়ের তত্ত্বাবধানে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কক্ষে (আইসিইউ) রাখা হয়।
এর আগে ২০২১ সালে একবার মাইনর স্ট্রোকে আক্রান্ত হন মাওলানা লুৎফর রহমান।
প্রখ্যাত এ আলেমে আল্লামা লুৎফর রহমান একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামি বক্তা। একজন স্বনামধন্য বক্তা হিসেবে দেশে-বিদেশে তার অনেক পরিচিতি রয়েছে।
ব্যক্তিজীবনে মাওলানা লুৎফর রহমান ৫ কন্যা ও ২ ছেলের জনক। পরিবারের পক্ষ থেকে আল্লামা লুৎফর রহমানের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
কর্মজীবনে তিনি টেকনাফের রঙ্গীখালী দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়ন অগ্রগতিতে সর্বদা নিজেকে উৎসর্গ করেন। তিনি ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ নির্বাচনী এলাকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।