:: বান্দরবান প্রতিনিধি ::
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চাকঢালা জামছড়ি এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে গোলাম আকবর (২৫) নামের এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি ও মিয়ানমারের সালুডং সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত গোলাম আকবর নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চাকঢালা জামছড়ি এলাকার ছৈয়দ আজিমের ছেলে। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য মোহাম্মদ রিপন চৌধুরী জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৬টার পর আহত যুবককে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার বাম পায়ের গোড়ালি ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা বলেন, ওই যুবক কাঠ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সীমান্তে গিয়েছিল। স্থানীয়দের মাধ্যমে জেনেছি, তিনি মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাকঢালা জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের ওপার থেকে চোরাই গরু আনতে যান গোলাম আকবর। সেখানে মাইন বিস্ফোরণে বাম পায়ের গোড়ালী উড়ে গিয়ে সে গুরুতর আহত হয়। আহত গোলাম আকবর সংকটাপন্ন অবস্থায় বর্তমানে কক্সবাজার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এই ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, মাইন বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তি কক্সবাজারে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গত কয়েক মাস ধরে জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের চাকঢালা, আশারতলী, ফুলতলী, কম্বনিয়া, জামছড়ির কয়েকটা পয়েন্টে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন মিয়ানমার থেকে শত শত চোরাই গরু নিয়ে আসছে কয়েকটি সিন্ডিকেটের সদস্য।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার ভূখন্ডে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশী যুবক অথোয়াইং তংচঙ্গ্যা’র পা উড়ে যায় এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সদর ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী আশারতলীতে স্থল মাইন বিস্ফোরণে আরো এক বাংলাদেশি আহত হয়।