:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
মিশরের একটি কপটিক চার্চে অগ্নিকাণ্ডে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৫৫ জন। রাজধানী কায়রোতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে রোববার জানিয়েছে মিশরীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, গির্জার আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
মিসরের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা মেনা জানিয়েছে, কায়রোর ইমবাবার গ্রেটার জেলার আবু সেফেইন চার্চে আগুন লেগেছে। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
মিশরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোসাম আবদেল-গাফফার বলেছেন, আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করতে ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
দেশটির নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলেছে, ইমবাবার কপটিক আবু সেফেইন গির্জায় রোববার সকালের দিকে গণপ্রার্থনা প্রায় ৫ হাজার মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। সেই সময় গির্জার ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে সবাই ছোটাছুটি শুরু করে। তবে গির্জার একটি প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেখানে পদদলনের ঘটনা ঘটে।
মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি আজ সকালে ফেসবুকে লিখেছেন, আমি এই ঘটনা এবং এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা ও আহতদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।
দেশটির পুলিশ এক বিবৃতিতে কপটিক আবু সিফিন গির্জায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
মিশরের কপ্টিক খ্রিস্টানরা মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম খ্রিস্টান সম্প্রদায়, তবে সংখ্যালঘু হওয়ায় তারা প্রায় হামলার শিকার হয় । মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মিশরের ১০ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে অন্তত ১ কোটি কপ্টিক খ্রিস্টান রয়েছে ।
কপ্টিরা মূলত ইসলামপন্থীদের কাছ থেকে প্রায়ই হামলার শিকার হয়েছে। বিশেষ করে ২০১৩ সালে ইসলামপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরে তাদের গীর্জা, স্কুল এবং বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়।