:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
ঈদের আগে পরে মিলিয়ে গত ১০ দিনে সারাদেশে ৯৭ জন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫১ জনই ছিল অপ্রাপ্তবয়স্ক। অর্থাৎ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ৫৭ শতাংশের বয়স ছিল ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, গত ২৫ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত সারাদেশে ১৭৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন মোট ২৪৯ জন। নিহতদের মধ্যে মোটরসাইকেল আরোহী ছিলেন ৯৭ জন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ। নিহত ৫১ জনের বয়স ছিল ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। অর্থাৎ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ৫৭ শতাংশ ছিল অপ্রাপ্তবয়স্ক।
সংস্থাটির আরেকটি পরিসংখ্যান বলছে, গত ১ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত ১১২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৩৯ জন নিহত হয়েছেন। একই সময় ৫৬ জন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। যা মোট মৃত্যুর ৪০ দশমিক ২৮ শতাংশ।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শহর থেকে মানুষ গেছেন। এই যাত্রায় বাস, লঞ্চ এবং ট্রেনের পাশাপাশি এবার ব্যাপকহারে যুক্ত হয়েছে মোটরসাইকেল। যেসব মোটরসাইকেল রাজধানীতে রাইড শেয়ার করতো, তারাই বাড়ি যাওয়ার সময় নিজ নিজ এলাকার যাত্রীদের নিয়ে চলে গেছেন। মোটরসাইকেলের চাপে এবার ফেরিঘাটগুলোতে আলাদা ফেরি দিতে হয়েছিল। আর এ কারণে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাও বেশি ছিল।
মোটরসাইকেল গণপরিবহন না, তবে গণপরিবহন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে সড়কের ঝুঁকি আরও বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এখন অনেকেই কোনোরকম মোটরসাইকেল চালানো শিখেই রাস্তায় যাত্রীবহন করতে নেমে পড়ছে। এতে যাত্রী ও চালকের দুজনের ঝুঁকি বাড়ছে।