:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
চট্টগ্রামে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনারসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছেন হাটহাজারী উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের উদালিয়া গ্রামের হাজী মকবুল হোসেনের ছেলে মো. নাসির উদ্দিন ।
বুধবার চট্টগ্রামের প্রথম সিনিয়র সহকারী জজ ইছরাত জাহান নাসরিনের আদালতে এই আবেদন করা হয়।
মামলার বাদী হাটহাজারী উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের উদালিয়া গ্রামের হাজী মকবুল হোসেনের ছেলে মো. নাসির উদ্দিন। গত ১৫ জুন হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মোট ১১টি কেন্দ্রে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ৮৬৯ জন। এরমধ্যে রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক ঘোষিত বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী কাস্টিং ভোটের সংখ্যা দেখানো হয় ১৪ হাজার ২৮০টি। নির্বাচনের ফলাফল শিটে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোহাম্মদ মুজিবুল আলম চৌধুরী মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৯৭৬ ভোট, মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ঘোড়া প্রতীকে ৩৯৫ ভোট, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন আনারস প্রতীকে ৫৬৬৯ ভোট এবং শওকত আলমের নৌকা প্রতীকে ৬১৯৮ ভোট প্রদর্শন করা হয়। রেজাল্ট শিট নির্বাচনি নিয়ম ও বিধি বহির্ভূত হয়। উক্ত অনিয়মের বিরুদ্ধে বাদী লিখিত ও মৌখিকভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও কোনও প্রতিকার পাননি।
মামলার বাদী মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ফলাফলের কপিতে ৫ নম্বর কেন্দ্রে ভোট গণনা শুরুর সময় দেখানো হয়েছে ৪টা। ভোট গণনা শেষ হওয়ারও একই সময় দেখানো হয়। ১১ নম্বর কেন্দ্রে ভোট গণনার শুরুর সময় দেখানো হয় ৪টা ৫ মিনিটে, শেষ হওয়ার সময়ও একই ছিল। অন্যদিকে ১ নম্বর কেন্দ্রে গণনা শুরু ও শেষ হওয়ার তথ্য উল্লেখ না করে প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে পাঠানো হয়। নির্বাচনে এ ধরনের অসংখ্য অসামঞ্জস্যতা রয়েছে। এখানে ইভিএমের মাধ্যমে ফলাফল কারচুপি করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।