যে ধরণের পুরুষকে এড়িয়ে চলবেন

ধরা যাক, আপনি সুন্দরী, বুদ্ধিমতি ও রূপসী। মাঝে মাঝে আপনার কাছে প্রেমের প্রস্তাব আসে। আসাটাই স্বাভাবিক কারণ অনেক পুরুষের প্রেমিকা হিসেবে রূপসী নারী বেশি পছন্দের।

অনেকে হয়ত প্রেমিকাকে বিয়েও করতে চায়। অনেক প্রস্তাবের ভিড়ে বাছ-বিচারের মাধ্যমে আপনাকে সর্বোত্তম মানুষটিকেই জীবনসঙ্গী অথবা প্রেমিকা হিসেবে ঠিক করতে হবে।

তবে প্রেম করার আগে সব পুরুষই তাদের প্রেমিকাকে রানীর আসনে বসিয়ে রাখে। পরবর্তীতে ভোল পাল্টে ফেলে তারা। তখন মন ভেঙ্গে যায় নারীদের।

যে ধরণের পুরুষকে এড়িয়ে চলবেন সেটা জেনে নিন। এদের সঙ্গে প্রেম কিংবা বিয়ে একেবারেই নয়।

খালি শরীর
কোনও পুরুষ যদি সম্পর্কের শুরুতেই আপনাকে Hi Beautiful, Hi Baby, Hi sexy, hi hotty, Hi cutie, Hi horny girl, Hi sweetheart, Hi cutie-pie এসব বলে সম্মোধন করে তাহলে সতর্ক হয়ে যান। এই প্রেমিকা আপনার জন্য নয়। সে চায় শুধু শরীর আর যৌনতা। একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন, এমন কথা সে অনেক নারীকেই বলে। কথায় কথায় শরীর স্পর্শ আর যৌনতার উন্মাদনায় ভোগে সে। এরা জীবন সম্পর্কে সিরিয়াস নয়। এরা চায় নারীশরীর। সারাদিন সোশাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ায়। বিভিন্ন মেয়েদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়। চ্যাট করে। সেক্স চ্যাটও করে। আর সব নারীকেই একই ডায়ালগ শোনায় ‘তুমি আমার প্রথম প্রেমিকা’।

অহংকারি
নারীপুরুষের ভেদাভেদ কমে গেছে অনেকটাই। এখন পুরুষদের সাথে কাঁধে কাধ মিলিয়ে সাফল্যের চূড়ান্ত উচ্চতায় আসীন হচ্ছে নারীরা। তবে সব ক্ষেত্রে নারীরা তাঁদের যোগ্য স্বীকৃতি, সম্মান পান না। একই পদমর্যাদাপ্রাপ্ত পুরুষ অনেক বেশি সম্মান পায়। এটা সম্পর্কের ক্ষেত্রেও সত্যি। কিছু পুরুষ নিজেদের গুণগান গাইতে পছন্দ করে। সে নিজেকে নিয়ে মত্ত। আপনার সাফল্য, আপনার প্রচেষ্টাকে তিনি কোনওদিনই সম্মান দেবেন না। অশান্তি চরমে উঠবে। যতই পছন্দ হোক, পরবর্তী জীবনে শান্তির কথা মাথায় রেখে এ ধরনের পুরুষকে এড়িয়ে চলুন।

মুডি
একদম প্রেম করবেন না এমন পুরুষের সাথে। জীবন জ্বালা-যন্ত্রণায় ভরে যাবে। শুরুর দিকে এদের অপ্রত্যাশিত চমক আপনাদের মুগ্ধ করবে, কিন্তু জীবনসঙ্গী হিসেবে এরা সঠিক বাছাই নয়। আসলে এরা বড়ই হয়নি। অন্যের ভালোলাগা, মন্দলাগা কোনওদিন এদের কাছে প্রাধান্য পায় না। নিজের মর্জিমাফিক চলে। ভালো হলে খুব ভালো, খারাপ হলে খুব খারাপ। এদের এড়িয়ে চলুন।

পুরুষতান্ত্রিক
পুরুষতান্ত্রিক একজন পুরুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়ার আগে বাবা-মায়ের কথা চিন্তা করবেন। যে বাবা-মা ছোটো থেকে লেখাপড়া করিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর যোগ্য করলেন, তাঁদের পরিশ্রমে পানি ঢেলে দেবেন না। কেননা এই পুরুষ মুখে যাই বলুক, বিয়ের পর কিছুতেই আপনাকে চাকরি করতে দেবে না। চূড়ান্ত পরাধীন জীবনে ঠেলে দেবে আপনাকে। এরা কোনও মহিলাকে সম্মান করতে পারে না। আপনাকেও করবে না।

প্লেবয়
প্লেবয় বা মেয়েবাজ কোনও পুরুষকে আপনার মন নিয়ে খেলতে দেবেন না। এরা চূড়ান্ত অসৎ। বহুনারী থাকে এদের জীবনে। প্রতিশ্রুতি করে অনেক। কিন্তু সেগুলো পালন করতে জানে না। এরা ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যে কথা বলে। এদের সত্যতা চট করে ধরা পড়ে না। যখন পড়ে,সব শেষ! সুতরাং মেয়েবাজ পুরুষ থেকে সাবধান।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *