:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও বছর শেষে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকায়।
রোববার এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এ তথ্য জানান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে ৩ লাখ ৩০ হাজার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ পিছিয়ে আছি। ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। আমরা রাজস্ব আহরণ করতে পেরেছি ৩ লাখ ১৬৩৩ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও আমাদের ওই প্রবৃদ্ধি অর্জন খুব খারাপ, তা বলব না। আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। করনেট ও কর জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
গত অর্থবছরের জুন পর্যন্ত এনবিআরের আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক বিভাগে নির্ধারিত ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩ লাখ এক হাজার ৬৩৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। রাজস্ব আদায়ে ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। তারপরও ঘাটতি ২৮ হাজার ৩৬৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাটের লক্ষ্য সবচেয়ে বেশি। এ খাতে লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ২৮ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা। যার বিপরীতে আদায় হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৪১৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা। ঘাটতি ১৯ হাজার ৫৮১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
আয়কর ও ভ্রমণ করে লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৫ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা। এই খাতে আদায় হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৭৯১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এই খাতে সর্বোচ্চ ২১ দশমিক ৭৯ শতাংশ হলেও ঘাটতি থেকে মুক্তি মেলেনি। এই খাতে ঘাটতি ২ হাজার ২০৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
আমদানি শুল্কে ৯৬ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮৯ হাজার ৪২৩ কোটি ৮০ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। এখানে ঘাটতি ৬ হাজার ৫৭৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৯১ শতাংশ।