:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
পাকিস্তানে শপথ নিয়েছে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) ইসলামাবাদে প্রেসিডেন্ট হাউসে শপথ নেয় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা। এদিন ৩১ জন পূর্ণ মন্ত্রী ও তিন প্রতিমন্ত্রীর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা শপথ নেন। এতে স্থান পেয়েছেন পাঁচজন নারী। এর মধ্যে তিনজন পূর্ণ মন্ত্রী এবং দুইজন প্রতিমন্ত্রী।
শাহবাজ শরিফের মন্ত্রিসভায় এখন আলোকিত করছেন পাঁচ নারী সদস্য, যা নিয়ে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম আলোচনার ঝড় উঠেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মন্ত্রিসভায় নারীরা তেমন গুরুত্ব পায়নি। কিন্তু শাহবাজ ব্যতিক্রমী। নিজের মন্ত্রিসভায় পাঁচ নারীকে গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখেছেন তিনি। পাঁচ নারী সদস্য হলেন- তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব, জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শেরি রেহমান, তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রাদেশিকমন্ত্রী শাজিয়া মারী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিনা রব্বানী খার ও প্রতিমন্ত্রী ড. আয়েশা গাউস পাশা।
মরিয়ম আওরঙ্গজেবকে পূর্ববর্তী পিএমএল-এন সরকারের মুখপত্র ছিলেন। যুক্তরাজ্য থেকে উন্নয়ন ও পরিবেশ নীতিতে মাস্টার্স করেছেন তিনি। এরপরই পিতামাতার রাজনীতিতে আসেন তিনি। ২০১৩ সালে দলের সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মন্ত্রিসভায় সম্প্রচার, তথ্য এবং জাতীয় ঐতিহ্যের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
নওয়াজকে অযোগ্য ঘোষণা করার পরেও এবং শাহিদ খাকান আব্বাসি নওয়াজের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পরেও তিনি তার ভূমিকা অব্যাহত রেখেছিলেন। ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মরিয়ম আওরঙ্গজেব
যুক্তরাজ্য থেকে উন্নয়ন এবং পরিবেশ নীতিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন মরিয়ম আওরঙ্গজেব। ২০১৩ সালে তিনি পিএমএল-এন দলে যোগ দেন। নারী সংরক্ষিত আসনের এমপি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মন্ত্রিসভায় তিনি সম্প্রচার, তথ্য ও জাতীয় ঐতিহ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শেরি রেহমান
পাকিস্তানের প্রথম নারী সিনেটের বিরোধীদলীয় নেতা ও পিপিপির (পাকিস্তান পিপলস পার্টি) ভাইস প্রেসিডেন্ট শেরি রেহমান। তিনিও যুক্তরাজ্য থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর দ্য ডেইলি স্টারের সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে দ্য হেরাল্ডের প্রধান সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হন।
সাংবাদিক হিসেবে ২০ বছর কাজ করার পর ২০০২ সালে পিপিপির সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি হয়ে রাজনীতিতে যুক্ত হন শেরি রেহমান। ২০০৮ সালে তিনি তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এরপর সিনেটে প্রথম নারী বিরোধীদলীয় নেতাও নির্বাচিত হন।
হিনা রব্বানী খার
২০১১ থেকে ২০১৩ সাল মেয়াদে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন হিনা রব্বানি খার। তিনি পাকিস্তানের ২১তম এবং প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তার আগে ২০১১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১১ সালের ২০ জুলাই পর্যন্ত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন ৪৪ বছর বয়সী এ রাজনীতিক। রাজনীতিতে প্রবেশের পূর্বে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন।
ড. আয়েশা গাউস পাশা
পাঞ্জাবের সাবেক অর্থমন্ত্রী এবং পিএমএল-এন এমপি আয়েশা ঝাউস পাশা। তার স্বামী অর্থনীতিবিদ হাফিজ পাশা। অতীতে হাফিজ পাশা পিপিপি এবং পিএমএল-এন সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন।