:: ক্রীড়া ডেস্ক ::
ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে শ্রীলঙ্কার সাবেক স্পিনার সচিত্রা সেনানায়েকে গ্রেফতার হয়েছেন। শ্রীলঙ্কা পুলিশের মিডিয়া বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সচিত্রা সেনানায়েকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২০ সালের লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে তিনি একাধিক ক্রিকেটারকে ম্যাচ পাতাতে প্ররোচিত করেছেন। সেই আসরে তিনি খেলেননি। এমনকি আসর চলাকালীন দেশেও ছিলেন না। বিষয়টি তখনই সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার ও ফ্র্যাঞ্চাইজি আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে (আকসু) জানিয়েছিল।
সেনানায়েকে গ্রেফতার ক্রীড়া আইনে হয়েছেন যা ক্রীড়াঙ্গন বিশুদ্ধ রাখতে আইনটি শ্রীলঙ্কা ২০১৯ সালে প্রণয়ন করেছে। এই আইনে কোন ব্যক্তি দেশটির যে কোন খেলার ফলাফল, অগ্রগতি, আচরণ প্রভাবিত করার জন্য কাউকে অনুরোধ বা প্ররোচিত করলে বা প্ররোচিত করার নির্দেশ দিলে তা খেলাধুলায় দুর্নীতি বলে গণ্য হবে।
এই আইনটির অধীনে সচিত্রা সেনানায়েকেই শ্রীলঙ্কার প্রথম গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি। গত মাসে শ্রীলঙ্কার আদালত সেনানায়েকের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। সেনানায়েকে ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। ২০১৪ সাল পর্যন্ত নিয়মিত ছিলেন তিনি। ওই বছর শ্রীলঙ্কার টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন এই স্পিনার।
সেনানায়েকের অপরাধ প্রমাণিত হলে কমপক্ষে ১০ বছরের জেল হতে পারে। জরিমানা হিসেবে গুনতে হতে পারে ১০০ মিলিয়ন রুপি।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ৭৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা সেনানায়েকেকে দেশের জার্সিতে সর্বশেষ দেখা গেছে ২০১৬ সালে। ৪৯ ওয়ানডেতে সেনানায়েকের উইকেট ৫৩, টি-টোয়েন্টিতে তাঁর উইকেট ২৫টি। ২০১৪ সালে একটি টেস্ট খেলেছিলেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই টেস্টে তিনি কোনো উইকেট পাননি। আইপিএলে ২০১৩ সালে তাঁকে ৬ লাখ ২৫ হাজার ডলার দামে কিনেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
এর আগে ২০১৪ সালে তার অ্যাকশন অবৈধ উল্লেখ করে সেনানায়েকের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ তোলা হয়। বোলিং অ্যাকশন পরিবর্তন করে একই বছর আবারও ক্রিকেটে ফিরেন এই স্পিনার। জাতীয় দলে আবারও প্রত্যাবর্তন করলেও ২০১৬ সালে দেশের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেন এই স্পিনার।