:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
সুয়ারেজ লাইনে জমে থাকা গ্যাসে সায়েন্স ল্যাবের ভবনে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) ডিসপোজাল ইউনিটের।
রোববার সায়েন্স ল্যাব এলাকার মিরপুর রোডের বিস্ফোরণস্থল ভবন পরিদর্শন শেষে ডিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) ও সিটিটিসির বোমা ডিসপোজাল দলের প্রধান রহমত উল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, সায়েন্স ল্যাবের বিস্ফোরণের ঘটনাটি ২০২১ সালে ঘটে যাওয়া মগবাজারের ‘রাখি নীড়’ ভবনে বিস্ফোরণের মতো গ্যাস থেকে সৃষ্ট একটি বিস্ফোরণ।’
‘ভবনটিতে কোনো না কোনোভাবে গ্যাস জমে ছিল। জমে থাকা গ্যাসের গণমাত্রা যদি ৫-১১ হয়, এটা যদি ট্রিগার হয় তাহলে এই ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে। এই ট্রিগার সুইচের মাধ্যমে, ফ্যানের সুইচ ও এসির সুইচের মাধ্যমেও হতে পারে। এটা গ্যাস থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণ হতে পারে। আর এত বড় বিস্ফোরণ গ্যাস থেকে সৃষ্টি হয়।’
ভবনটিতে বিস্ফোরকের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তাই বিস্ফোরণটি প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনা বলে মনে করছেন তারা। তবে বিস্ফোরণের কারণ এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে ভবনটিতে বিস্ফোরকের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তাই বিস্ফোরণটি প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনা বলে মনে করছেন তারা। তবে বিস্ফোরণের কারণ এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা।
রোববার বেলা ১১টার কিছু আগে তিনতলা ওই ভবনে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আহত ও দগ্ধ ১৪ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আধা ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, ভবনটির তিনতলায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবন থেকে ইট ও জানালার কাচ উড়ে গিয়ে রাস্তা ও আশপাশের এলাকায় পড়েছে। তিনতলা ওই ভবনে বেশির ভাগই কাপড়ের দোকান ছিল। আশপাশে বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন রয়েছে। সেখান থেকে মানুষ আতঙ্কে নিচে নেমে আসে।
ভবনের তৃতীয় তলায় নিউ জেনারেশন, লায়রা প্রোডাক্ট, ফিনিক্স ইনস্যুরেন্স লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় রয়েছে। নিহত তিনজনই লায়রা প্রোডাক্টের কর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে।