:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবনা জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
রোববার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচন কমিশনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নাম দাখিল করেন।
সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তাদের মনোনীত প্রার্থীই হচ্ছেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি, এটি মোটামুটি নিশ্চিত। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি প্রার্থী না দেওয়ার কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছে।
দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন আজ রোববার। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে।
রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাছাই ১৩ ফেব্রুয়ারি। প্রত্যাহার ১৪ ফেব্রুয়ারি। সংসদ ভবনে ভোট গ্রহণ হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। অবশ্য রাষ্ট্রপতি পদে একক প্রার্থী হলে ভোটের প্রয়োজন হবে না। সে ক্ষেত্রে ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিনেই একক প্রার্থীকে রাষ্ট্রপতি পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এক বিবৃতিতে জানান, রোববার সকালে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
সংবিধান অনুয়াযী, রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে ৫ বছরের জন্য পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সেই অনুযায়ী, তার ৫ বছরের মেয়াদ আগামী ২৩ এপ্রিল শেষ হবে।
মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর জন্ম ১৯৪৯ সালে। ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।
২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ব্যক্তিগত জীবনে শাহিম আহমেদ রাজ্য নামে এক পুত্র সন্তানের পিতা এবং তার স্ত্রী অধ্যাপক ড. রেবেকা সুলতানা বাংলাদেশ সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব ছিলেন।
আগামী ২৩ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তবে সংবিধান অনুযায়ী, পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে শপথ না নেওয়া পর্যন্ত বর্তমান রাষ্ট্রপতি নিজ পদে বহাল থাকবেন।
সংবিধানের ১২তম সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর শুধু ১৯৯১ সালেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা ভোট গ্রহণ করা হয়। ওই সময় সংসদে ক্ষমতাসীন বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন ১৪০ জন। অন্য সংসদ সদস্যরা ছিলেন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও অন্য সাতটি দলের। সে কারণে ভোট গ্রহণ করার প্রয়োজন হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করার প্রয়োজন হয়নি।