:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে আশরাফুল আলম হিরো ওরফে হিরো আলমসহ ১১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
তথ্যগত ক্রুটি ও সমর্থকদের স্বাক্ষরের গরমিল পাওয়ায় রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম তাদের মনোনয়ন বাতিল করেন।
রোববার দুপুরে যাচাই বাছাইকালে তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
দুটি আসনেরই মনোনয়ন বাতিল করায় হিরো আলম জানিয়েছেন, তার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন- হিরো আলম, অ্যাডভোকেট ইলিয়াস আলী, গোলাম মোস্তফা, আব্দুর রশিদ লালু, নন্দীগ্রাম পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র কামরুল হাসান জুয়েল ও তাজ উদ্দিন। তাঁদের মধ্যে তাজ উদ্দিন বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন। অন্য সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী। ওই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে দাখিল করা মোট ভোটারের এক শতাংশের সমর্থন ও স্বাক্ষর সম্বলিত তালিকায় গরমিল পাওয়া যায়। এ ছাড়া বাংলাদেশ কংগ্রেসের তাজ উদ্দিন মনোনয়নপত্রে নিজেই স্বাক্ষর করেননি এবং তার প্রস্তাবক ও সমর্থকেরও কোনো স্বাক্ষর নেই।
বগুড়া-৬ (সদর) আসনে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন- হিরো আলম, ট্রাক মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা আব্দুল মান্নান আকন্দ, মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু, সদর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি সরকার বাদল, রাকিব হাসান ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মুনসুর রহমান।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপনির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানান, যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা আগামী ৯ থেকে ১২ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। আপিলে তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে পারলে তাঁদের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার সুযোগ আছে।
প্রার্থিতা বাতিল প্রসঙ্গে আলোচিত হিরো আলম বলেন, একই অজুহাতে একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও আমার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল। সে সময় নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছিলাম। এবারও আপিল করব এবং আশা করছি দু’আসনেই আমার প্রার্থিতা ফিরে পাব।
আব্দুল মান্নান আকন্দ বলেন, অতি সম্প্রতি বগুড়া পৌরসভা ও জেলা পরিষদের নির্বাচনে আমি অংশ নিয়ে ব্যাপক জনসমর্থন পাই। তারপরও বলা হচ্ছে, আমার সমর্থকদের নির্বাচন কমিশন খুঁজে পায়নি। তাদের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করব।