:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে প্রতি ১ হাজার জনে প্রায় ১২ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। ঘাতক এ ব্যাধি থেকে বেঁচে থাকতে সচেতনতার বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার স্ট্রোক নিয়ে জাতীয় স্ট্রোক কনফারেন্সের আয়োজন করে বাংলাদেশ সোসাইটি অব স্ট্রোক ও নিউরো ইন্টারভেনশন (বিএসএসএনআই)। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রখ্যাত নিউরোলজিস্ট অধ্যাপক কাজী দীন মোহাম্মদ, অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ, অধ্যাপক ফিরোজ আহম্মেদ কোরাইশি, অধ্যাপক মো. বদরুল আলম ও অধ্যাপক আবু নাসার রিজভী।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, স্ট্রোকের চিকিৎসা যত দ্রুত করা সম্ভব তত ফল ভালো হয়। স্ট্রোকের চিকিৎসায় দেরি করলে উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তাই দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। জাতীয় পর্যায়ের একজন নেতা স্ট্রোকের তিন ঘণ্টার মধ্যে বিএসএমএমইউ-তে আসলে তাকে স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সাত দিন পরই তিনি হেঁটে বাড়ি চলে যান।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে স্ট্রোকের বিশ্বমানের চিকিৎসা হচ্ছে। দেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিশ্বমানের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। স্ট্রোকের চিকিৎসায় বিদেশে যাওয়ার দরকার নাই।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব স্ট্রোক ও নিউরো ইন্টারভেনশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক কাজী মহিবুর রহমান বলেন, আমাদের দেশে স্ট্রোক রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। স্ট্রোকের আধুনিক সব চিকিৎসা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স (নিনস) হাসপাতালে হচ্ছে। সরকারি ভাবে অনেক কম খরচেই স্ট্রোকের সব আধুনিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব স্ট্রোক ও নিউরো ইন্টারভেনশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক শরীফ উদ্দিন খান বলেন, বাংলাদেশে সরকারিভাবে একমাত্র নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নিয়মিতভাবে আইভি থ্রোম্বলাইসিস করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এ হাসপাতালের ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি বিভাগ স্ট্রোকের অত্যাধুনিক চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে।
সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফিরোজ আহম্মেদ কোরাইশি স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসা আইভি থ্রোম্বলাইসিস জেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান। তরুণ নিউরোলজিস্টদের নিউরো ইন্টারভেনশনে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।
নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম মন্ডল বলেন, স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসায় সরকারিভাবে ২০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব স্ট্রোক ও নিউরো ইন্টারভেনশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সুভাষ কান্তি দে বলেন, যদি মুখ বেঁকে যায়, এক হাত অবশ হয়ে যায়, কথা জড়িয়ে যায় তাহলে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে নিলে অত্যাধুনিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। আইভি থ্রোম্বলাইসিস করা সম্ভব।