:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মোট ৩ হাজার ৪৯৫ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৬১৯ জন কন্যা এবং ১ হাজার ৮৭৬ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আর ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে ১৪টি।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনবিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। দেশের ১২টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করে মহিলা পরিষদ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ১৪৯ জন, এরমধ্যে ১০৩ জন কন্যাশিশু। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ৯৩ জন, এরমধ্যে ৮৪ জন কন্যা। উত্ত্যক্তকরণের কারণে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে ৮ জন কন্যাসহ ৯ জন। বিভিন্ন কারণে ৮৭ জন কন্যাসহ ৪৯৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ১৯ জনকে। ৭৪ কন্যাসহ ২৬৬ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ১০২ কন্যাসহ ২৭৯ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে, এরমধ্যে ১০ কন্যাসহ ৩৮ জন আত্মহত্যার প্ররোচণার শিকার হয়েছে। এছাড়াও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ৩ কন্যাসহ ৬ জন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তাদের প্রতিবেদনে বলছে, উক্ত সময় যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ১৬৩ জন। এর মধ্যে ১২২ জন কন্যা। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ১২৫ জন। এর মধ্যে ১০৪ জন কন্যা। তার মধ্যে উত্ত্যক্তকরণের কারণে আত্মহত্যা করেছে ছয় জন কন্যা ও এক জন নারী। এ সময় ১০৮ জন নারী ও কন্যা পাচারের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ২৮ জন কন্যা। এ সময় অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন ২২ জন, এর মধ্যে তিন জন কন্যা। অগ্নিদগ্ধের ঘটনার শিকার হয়েছে ২৫ জন। যার মধ্যে ১২ জনের অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে তিন জন কন্যা।
গত বছর যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৬৫ জন, এরমধ্যে ৬৫ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে এবং তার মধ্যে তিন জন কন্যা। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে মোট ২১৯ জন। এর মধ্যে ৫১ জন কন্যা। পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২১ জন, তার মধ্যে পাঁচ জন কন্যা। একই সময় মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে এক জন। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে এক জন। এ সময় ১৩ জন গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হন। পাঁচ জন গৃহকর্মীকে হত্যা করা হয় এবং দুই জন আত্মহত্যা করেন। এ সময় বিভিন্ন কারণে ৯২ জন কন্যাসহ ৫০৭ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন কারণে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ৫২ জনকে। এর মধ্যে ১২ জন কন্যা। একই সময় ৬৯ জন কন্যাসহ ৩১০ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ৮২ জন কন্যাসহ ২৩৯ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে প্ররোচনার শিকার হয়ে ১৬ জন কন্যা ও ৩৭ জন নারী আত্মহত্যা করে। এছাড়াও আত্মহত্যার চেষ্টা করে এক জন কন্যাসহ পাঁচ জন নারী। এ সময় পিতৃত্বের দাবির ঘটনা ঘটেছে একটি।