:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি আগের মতোই অবনতিশীল ছিল। এ তিন জেলায় ৭ থেকে ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হয়েছে।
গাজীপুরে রোববার রাত থেকে গতকাল বিকেল পর্যন্ত থেমে থেমে লোডশেডিংয়ের শিকার হয়ে দুর্ভোগ পোহান মানুষ। তবে গ্রামের তুলনায় শহরে লোডশেডিং কিছুটা কম ছিল। রোববার বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। পরে রাত নয়টায় আবার বিদ্যুৎ ছিল না আধা ঘণ্টার মতো। রাত ১১টায় আবার বিদ্যুৎ যায়। গতকালও সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত টানা বিদ্যুৎ ছিল না।
গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১–এর মহাব্যবস্থাপক (জিএম) যুবরাজ চন্দ্র পাল বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন, কালিয়াকৈর, কালীগঞ্জ ও জয়দেবপুর এলাকায় শিল্পকারখানা এবং অফিস–আদালতের সংখ্যা বেশি। এখানে ৪৬২ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে ২২৫ মেগাওয়াট। এতে এলাকাভিত্তিক সাত থেকে আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
নেত্রকোনায় পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন এলাকায় দিনে ও রাতে ১২ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ–বিভ্রাট হয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় টানা চার ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হয়। শহরে কিছুটা কম হলেও নির্ধারিত সময়সূচির বাইরেও লোডশেডিং হচ্ছে গ্রামে।
নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও জেলা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ জেলায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক আছেন ছয় লাখ ছয় হাজার। প্রতিদিন ১০৫ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে গড়ে ৪৩ থেকে ৪৫ মেগাওয়াট। রোববার সকাল থেকে গতকাল সকাল ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন উপজেলায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। এতে বিদ্যুতের চাহিদা কিছুটা কম থাকে। তা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ–বিভ্রাট ছিল ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা।
নেত্রকোনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘আমাদের চাহিদার ৭০ শতাংশ সরবরাহ ধরে শিডিউল করতে বলা হয়েছিল। সে অনুযায়ী আমরা এলাকাভেদে তিন থেকে চার ঘণ্টা লোডশেডিং রেখে শিডিউল করেছিলাম। কিন্তু এখন অর্ধেক সরবরাহই পাচ্ছি না।’
এদিকে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার নওপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, সেখানে দিন–রাত মিলিয়ে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। তারাকান্দা উপজেলার লারমা গ্রামের বাসিন্দা ফারুক আহমেদ বলেন, গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এক ঘণ্টা পরপর বিদ্যুৎ আসে আর যায়। তিনি বলেন, সম্প্রতি সেখানে রাতের বেলায় বিদ্যুতের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩–এর মহাব্যবস্থাপক খন্দকার শামীম আলম বলেন, ময়মনসিংহের ছয়টি উপজেলার জন্য গড় চাহিদা ৮৮ মেগাওয়াট; তবে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে সর্বোচ্চ ৪০ মেগাওয়াট।