মামুনকে গুলি করা দুই শুটার গ্রেফতার

■ নাগরিক প্রতিবেদক ■ 

তারিক সাইফ মামুন হত্যায় অংশ নেওয়া দুই শুটারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার দুজন হলেন- রুবেল ও ইব্রাহিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘তাদের নরসিংদীর ইটাখোলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে তাদের সিলেটের মৌলভিবাজার থেকে অনুসরণ করা হয়। গ্রেফতারের পর তাদের নিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায় ডিবি দল। এসময় ঢাকার রায়েরবাজার এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।’

সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের ফটকে মামুনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, হামলার সময় দুজন শুটার পিস্তল চালিয়ে হামলা চালায়, তবে আশপাশে অন্তত দুটি ব্যাকআপ টিম ছিল, ওই টিমের সদস্যদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে। মামুনকে হত্যার পর হামলাকারীরা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।

ডিএমপির অপর এক কর্মকর্তা বলেন, শুটাররা মুখে মাস্ক ও মাথায় টুপি পরিধান করলেও প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। মামুন হত্যার আগে অন্তত একজন তাঁকে অনুসরণ করছিল। হামলার আগে তাদের পরিকল্পনা সূক্ষ্মভাবে ছিল এবং তারা পেশাদারত্বের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে। তাদের মধ্যে একজনের নাম রুবেল, অপরজন ইব্রাহীম। এ ছাড়া আরও দুটি দল আলাদাভাবে হত্যাকাণ্ডে ব্যাকআপ টিম হিসেবে কাজ করেছে। এতে সোহেল ও কামাল নামে দুই সন্ত্রাসীর নাম এসেছে।

জাহিদ আমিন হিমেল নামের ২৫ বছরের এক যুবককে ১৯৯৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মোহাম্মদপুর পিসি কালচার হাউজিং এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয়। সেদিন হিমেলের বন্ধু সাইদও আহত হন। এ ঘটনায় হিমেলের মা জাফরুন নাহার সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২–৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর তারিক সাইফ মামুনসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অপর আসামিরা হলেন ওসমান, মাসুদ নাজমুল হোসেন, রতন, ইমন ও হেলাল। এ মামলায় আজ শুনানি ছিল।

 দীর্ঘ ২৪ বছর জেল খাটার পর ২০২৩ সালে তিনি জেল থেকে বের হন।

এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তেজগাঁও সাত রাস্তায় তারিক সাইফ মামুনকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। ওই ঘটনায় মামুন আহত হলেও পথচারী ভুবন চন্দ্র শীল নিহত হয়। নিহত মামুন চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী এবং সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই সাঈদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *