সপ্তাহে ২০০ শহীদ পরিবার পাবে আর্থিক সহায়তা

■ নাগরিক প্রতিবেদন ■

জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের কাছে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দিতে ২ নভেম্বর থেকে কাজ শুরু করবে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’। 

‘শহিদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ নামে নতুন কর্মসূচির অধীনে প্রতিটি শহিদ পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে। আর আহতদের দেওয়া হবে এক লাখ টাকা করে। প্রতি সপ্তাহে ২০০ পরিবারের কাছে সহায়তা পৌঁছে দেবে সংগঠনটি। 

শুক্রবার (১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর শাহবাগে ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সদস্যসচিব সারজিস আলম।

সারজিস আলম বলেন, শনিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের মিলনায়তনে ঢাকা বিভাগের শহীদদের পরিবারের কাছে প্রথম এ অর্থ তুলে দেওয়া হবে। ঢাকার সব শহীদ পরিবার কাল আসবে না। কাল যাদের অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে। আশা করা যায়, ডিসেম্বরের মধ্যেই সব পরিবারের কাছে সহায়তা পৌঁছে যাবে। আমরা আগামীকাল ২০০ পরিবারের মধ্যে সহায়তা দেব। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চারটি ভাগে টাকা দেওয়া হবে। প্রতিভাগে ৫০ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। যেন কেউ এসে বিকাল পর্যন্ত বসে থাকতে না হয়। এজন্য ২০ জনের একটি দল প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা প্রথম ঢাকা বিভাগ নিয়ে কাজ করছি। ঢাকায় শহীদের সংখ্যা ২০০-এর বেশি। তাদের দেওয়ার পর আট বিভাগে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রতিটি শহীদ পরিবারকে প্রাথমিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হবে।

আহতদের এক লাখ করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের সহায়তা বিকাশের মাধ্যমে পৌঁছে দিচ্ছি। পরিমাণ বেশি হলে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। তবে কারও জরুরি সহযোগিতা প্রয়োজন হলে হেল্পলাইন ১৬০০০-এ যোগাযোগ করলে তিন দিনের মধ্যে সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়া হবে।

এ সহায়তার পর পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এরপর আমাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। যারা আর কখনও কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারবেন না, তাদের দীর্ঘ সময়জুড়ে কোনো সম্মানি দেওয়া যায় কি না, এটিও বিবেচনা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাকে নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নিয়ে যেন প্রশ্ন না ওঠে, এজন্য আমরা যাচাই-বাছাই করছি। ৯ জনের একটি দল ভেরিফিকেশনের কাজ করছে। এরই মধ্যে ৮০০-এর অধিক শহীদের তালিকা চূড়ান্ত করা গেছে। ২৪ হাজারের বেশি আহত ও ১ হাজার ৬০০-এর বেশি শহীদের তালিকা রয়েছে। তথ্যগুলো যাচাই করে নভেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত তালিকা করা হবে।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *