■ নাগরিক প্রতিবেদক ■
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করা ঢাকা বোর্ডের ৩০৮ জন পরীক্ষার্থী ফেল থেকে পাস করেছেন। নতুন করে সর্বোচ্চ ফল বা জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২০১ জন।
রোববার এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
ঢাকা বোর্ডে উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের ফলের জন্য আবেদন করেন ৮৯ হাজার ৬৭১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ২ হাজার ৩৩১ জনের ফল এবং গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে ২ হাজার ৩৭৩ জনের।
বিষয়ভিত্তিকভাবে সবচেয়ে বেশি আবেদন এসেছে ইংরেজি ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে। গত ১৬ অক্টোবর ফল প্রকাশের পরদিন ১৭ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত সাত দিন আবেদন গ্রহণ করা হয়। শিক্ষার্থীরা প্রতি বিষয়ে ১৫০ টাকা ফি দিয়ে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেন।
বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করা ৭৯ হাজার ৬৭১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২ হাজার ৩৩১ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে।
“৩০৮ জন ফেল থেকে পাস ও ২০১ জন নতুন করে জিপিএ-৫ পেলেও এবার বোর্ডের কোনো শিক্ষার্থী ফেল থেকে জিপিএ-৫ পাননি।”
গত ১৬ অক্টোবর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। তাতে পাস করেছে ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী, যা গত অন্তত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম।
উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৯ হাজার ৯৭ জন জিপিএ ৫ পায়। খাতা পুনর্নিরীক্ষণে তা বেড়ে এখন ৬৯ হাজার ২৯৮ জন হল।
গত ১৬ অক্টোবর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন পরীক্ষার্থী।
গত বছর এইচএসসি ও সমমানে মোট পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। সেই হিসাবে এবার পাসের হার কমেছে ১৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪।
