:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের চার বিচারপতিকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।
আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া চার বিচারপতি হলেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদ -এর ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এ নিয়োগ দিয়েছেন। এ নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান বিচারপতি সুপ্রিমকোর্টের জাজেস লাউঞ্জে নব নিযুক্তদের শপথ পড়াবেন।
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০০৬ সালের ২৩ আগস্ট এই তিন বিচারপতি হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
এই চার জনের নিয়োগের আপিল বিভাগে বিচারকের সংখ্যা এখন ছয়জন। বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগে ৮১ জন বিচারপতি রয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে শনিবার (১০ আগস্ট) ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগ করেন। তারা হলেন- বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন। একইদিন বিকেলে পদত্যাগ করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
পদত্যাগের আগে আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা ছিল ৭। শনিবার রাতে দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। পরদিন রোববার প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ সীমিত আকারে পরিচালনার জন্য রোববার (১১ আগস্ট) ৮টি বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এই বেঞ্চগুলোর মধ্যে ৫টি দ্বৈত বেঞ্চ এবং ৩টি একক বেঞ্চ।
বেঞ্চগুলো হলো- বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো.বজলুর রহমান (রিট), বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ (দেওয়ানি), বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী (কোম্পানি বেঞ্চ), বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খান (রিট), বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা (দেওয়ানি ও ফৌজদারি), বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসান (ফৌজদারি), বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজা (ফৌজদারি) এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথ (দেওয়ানি)।