■ নাগরিক প্রতিবেদক ■
সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ জন। এ সময় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। ফলে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৫০০ জনে অপরিবর্তিত রয়েছে। মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৪৭ জনে।
সোমবার (৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন করে ৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৪৮ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৬ জন।
এর আগে গতকাল রোববার চারজনের নমুনা পরীক্ষায় তিনজনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। অর্থাৎ দিনের ব্যবধানে শনাক্ত বেড়েছে প্রায় ৬৭ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
প্রয়োজন ছাড়া ভারতে না যাওয়ার সতর্কবার্তা
সোমবার (৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পক্ষ থেকে ভারতে না যাওয়ার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদের স্বাক্ষরে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
করোনার ঝুঁকি মোকাবিলায় দেশের সব স্থল ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি বাড়াতেও বলা হয়েছে সতর্কবার্তায়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব ভেরিয়েন্ট; বিশেষ করে, অমিক্রন এলএফ. ৭, এক্সএফজি, জেএন-১ এবং এনবি ১.৮.১ এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে এর সম্ভাব্য সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারত ও অন্যান্য সংক্রামক দেশ এবং বাংলাদেশ থেকে ভারত এবং অন্যান্য সংক্রামক দেশে ভ্রমণকারী নাগরিকদের জন্য দেশের সব স্থল, নৌ, বিমানবন্দরের আইএইচআর ডেস্কে নজরদারি জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবিলায় কিছু কার্যক্রম নিতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার দেশে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক না হলেও দেশে এ রোগের প্রকোপ বাড়ছে। আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা করোনার নতুন একটি ধরন শনাক্তের কথা বলছেন। এর নাম এক্সএফজি। এর পাশাপাশি এক্সএফসি ধরনটিও পাওয়া গেছে। দুটোই করোনার শক্তিশালী ধরন অমিক্রনের জেএন-১ ভ্যারিয়েন্টের উপধরন।
সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
** সাতবার প্রয়োজনমতো সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ (অন্তত ২৩ সেকেন্ড)
** নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে
** আক্রান্ত ব্যক্তি হতে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে
**অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না
**হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু, কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখা
দেশে প্রবেশের পথের জন্য নির্দেশনা
**দেশের বিভিন্ন স্থল, নৌ, বিমান বন্দরসমূহে আইএইচআর (IHR-2005) স্বাস্থ্য ডেস্কসমূহে সতর্ক থাকা, হেলথ স্ক্রিনিং এবং সার্ভেল্যান্স জোরদার করুন।
**দেশের পয়েন্টস অব এন্ট্রি সমূহে থার্মাল স্কান্যার, ডিজিটাল হেন্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে নন টাচ টেকনিকে তাপমাত্রা নির্ণয় করুন।
**চিকিৎসা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক, গ্লাভস এবং রোগ প্রতিরোধী পোশাক মজুত রাখুন (পিপিই)।
**ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনা সমূহ প্রচার করুন।
**জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ভারত ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশসমূহে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন।
সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয়
**অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন, মারাত্মক অসুস্থ হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
**রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন।
**প্রয়োজন হলে আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন (০১৪০১-১৯৬২৯৩)।