■ নাগরিক নিউজ ডেস্ক ■
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে অভিযান চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে ৫৩৮ অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারদের মধ্যে ৩৭৩ জনকে ইতোমধ্যে মার্কিন বিমান বাহিনীর উড়োজাহাজে চাপিয়ে নিজ নিজ দেশে ফেরতও পাঠানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন এজেন্টরা গতকাল বৃহস্পতিবার এই অভিযান চালান। যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিই) বরাত দিয়ে হোয়াইট হাউসের এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে নথিপত্রহীন এই অভিবাসীদের গ্রেফতারের তথ্য জানানো হয়।
হোয়াইট হাউসের এক্স পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল অভিযান চালিয়ে নথিপত্রহীন ৫৩৮ জন অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউজ জানায়, এই অভিযানের মাধ্যমে দেশের সীমান্ত সুরক্ষায় প্রশাসনের নেওয়া পদক্ষেপগুলোর একটি ছোট ঝলক তুলে ধরা হয়েছে। ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের পরিচালিত গ্রেফতার অভিযানের অন্তর্ভুক্ত কিছু অপরাধীদের নাম এবং তাদের অপরাধের বিবরণও প্রকাশ করা হয়েছে। অপরাধের তালিকায় রয়েছে ধর্ষণ, শিশুর প্রতি যৌন অসদাচরণ এবং ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুর ধারাবাহিক যৌন নির্যাতন।
এক্স পোস্টে হোয়াইট হাউস বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত সুরক্ষিত করার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যেসব কাজ করছে, তার একটি ছোট নমুনা এই ঘটনা।
মার্কিন গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, ওয়াশিংটন, ফিলাডেলফিয়া, বোস্টন, আটলান্টা, মিয়ামিসহ একাধিক শহরে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে।
গির্জা, স্কুলের মতো যেসব স্থানে নথিপত্রহীন অভিবাসীরা আশ্রয় নিতে পারেন, সেখানে হানা দিয়ে তাঁদের গ্রেফতারের বিষয়ে আইসিইর কর্মকর্তাদের ট্রাম্প প্রশাসনের অনুমতি দেওয়ার দুই দিন পরে এই অভিযান চালানো হলো।
গত ২০ জানুয়ারি সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের পর বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেসবের মধ্যে ‘আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মার্কিন জনগণকে সুরক্ষা প্রদান’ নামেস একটি আদেশও ছিল। মূলত এই আদেশের ভিত্তিতেই শুরু হয়েছে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান।
ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য বরাবরই অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর। নিজের প্রথম মেয়াদেও বহুসংখ্যক অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠিয়েছিলেন তিনি। গত নভেম্বরের নির্বাচনেও যুক্তরাষ্ট্রকে ‘অবৈধ অভিবাসীমুক্ত’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
সরকারি আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী অনেকেই জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করছে এবং নিরীহ আমেরিকানদের বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ করছে।
২৩ জানুয়ারি মার্কিন কংগ্রেস একটি রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন বিল লাকেন রাইলি অ্যাক্ট অনুমোদন করে। বিলটি অবৈধ অভিবাসীদের আটক এবং নির্দিষ্ট অপরাধে অভিযুক্তদের নির্বাসন প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য প্রণীত হয়েছে।