অপারেশন ডেভিল হান্ট: পঞ্চম দিনে গ্রেফতার ৫৬৬ জন

■ নাগরিক প্রতিবেদক ■ 

সারা দেশে চলমান বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ এর পঞ্চম দিনে আরো ৫৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, অভিযানের পঞ্চম দিনে ৫৬৬ জনসহ মোট ১ হাজার ৬৬৫ জন গ্রেফতার হয়।

তাদের মধ্যে অন্যান্য মামলায় ও গ্রেফতারি পরোয়ানার ভিত্তিতে ১ হাজার ৯৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগের ২৪ ঘন্টায় সব মিলিয়ে ১ হাজার ৬৮৬ জনকে গ্রেফতার করার তথ্য দিয়েছিল পুলিশ সদর দপ্তর।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।

ইনামুল হক সাগর জানান, অপারেশন ডেভিল হান্ট ও অন্যান্য অপরাধে গতকাল বুধবার বিকেল থেকে আজ বিকেল পর্যন্ত ১ হাজার ৬৬৫ জনকে গ্রেফতারকরা হয়েছে। এর মধ্যে অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেফতার ৫৬৬ জন এবং অন্য মামলা ও ওয়ারেন্টমূলে গ্রেফতার ১ হাজার ৯৯ জন।

২৪ ঘণ্টায় ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, পাঁচটি গুলি, একটি ছোরা এবং একটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।

গত শনিবার দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু হয়। এতে পুলিশ-র‌্যাবের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা অভিযানে অংশ নিচ্ছেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত ডেভিল হান্ট বলতে, দেশবিরোধী চক্র, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনতে বুঝানো হয়েছে। 

অপারেশন ডেভিল হান্ট একটি বিশেষ অভিযান। যা ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। এই হামলায় নেতৃত্ব দেয় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। হামলার ফলে বেশ কয়েকজন হতাহত হন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। 

ঘটনার পরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়। 

এরই ধারাবাহিকতায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামক বিশেষ অভিযান শুরু হয়। 

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’সহ পুলিশের বিভিন্ন অভিযানে রোববার দুপুর পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩০৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ইংরেজি শব্দ ডেভিল অর্থ শয়তান আর হান্ট অর্থ শিকার। ফলে ডেভিল হান্ট-এর অর্থ দাঁড়ায় শয়তান শিকার করা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত ডেভিল হান্ট বলতে দেশবিরোধী চক্র, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের বোঝানো হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে দেখা গেছে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সন্ত্রাসীরা দেশকে অকার্যকরের উদ্দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে। তারা ষড়যন্ত্র করে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। এর মধ্যে তাদের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেশে কয়েকটি সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংঘটিত হয়েছে। তাই দেশের সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে এ অপারেশন শুরু করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর যৌথভাবে পরিচালিত এ অপারেশনের প্রাথমিকভাবে বেশ কয়েকটি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই লক্ষ্য পূরণে সারা দেশে একযোগে অপারেশন পরিচালনা করা হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, অপারেশন ডেভিল হান্ট একটি বিশেষ অভিযান। যা ৮ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরে ছাত্র ও সাধারণ জনগণের ওপর সন্ত্রাসী হামলা করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। এ হামলায় নেতৃত্ব দেয় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এ হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহত হন এবং সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। ঘটনার পরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্য নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বৈঠকে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ ফেব্রুয়ারি অপারেশন ডেভিল হান্ট নামক বিশেষ অভিযান শুরু হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সন্ত্রাস নির্মূলের এ অপারেশন পরিচালনা করবে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বাহিনীগুলো গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সারা দেশে একযোগে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করবে। বাহিনীগুলোর মধ্যে রয়েছে পুলিশ, র‍্যাব, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবি।

সরকার এ অভিযানকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *