:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
দুর্নীতির সঙ্গে ব্যাপকভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
একইসঙ্গে জেনারেল আজিজ আহমেদের পরিবারের সদস্যদেরও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য ঘোষণা করার কথা জানানো হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (২০ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়।
মূলত বাংলাদেশ সময় সোমবার মধ্যরাতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার এই ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
বিবৃতিতে বলা হয়, উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কারণে সাবেক জেনারেল ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান আজিজ আহমেদকে অভিযুক্ত ঘোষণা করেছে। তাঁর কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের বিশ্বাসকে ক্ষুণ্ন করতে ভূমিকা রেখেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে আজিজ আহমেদ তাঁর ভাইকে (শীর্ষ সন্ত্রাসী তোফায়েল আহমেদ জোসেফ) সহযোগিতা করেন। এটা করতে গিয়ে তিনি সরকারি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। এছাড়া অন্যায়ভাবে সামরিক খাতে চুক্তি বা ঠিকাদারি পাওয়া নিশ্চিত করতে তিনি তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। তিনি নিজের স্বার্থের জন্য সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে ঘুষ নিয়েছেন।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিবৃতিতে বলা হয়, আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা গ্রহণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসন শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনরায় নিশ্চিত করা হলো। সরকারি সেবা আরও স্বচ্ছ ও নাগরিকদের সেবা লাভের সুযোগ তৈরি, ব্যবসা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মুদ্রা পাচার ও অন্যান্য অর্থনৈতিক অপরাধের অনুসন্ধান ও বিচার নিশ্চিতে সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টায় সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার কারণে সাবেক জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে, পূর্বে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান, ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর। এর ফলে আজিজ আহমেদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য হবেন।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে তাঁর মার্কিন ভিসা বাতিলের গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। তবে সে সময় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ বিষযয় কোনো মন্তব্য করেনি। আজিজ আহমেদও তার মার্কিন ভিসা বাতিলের তথ্য নাকচ করেছিলেন।