আত্মহুতি
-ফয়সাল নূর
মুখোমুখি বসিবার শেষ দিন এসেছিলো ভবে;
ওই ক্ষণে এই মন পরে রবে সদা পরে রবে।
মোর মুঠো তোর হাত আঁখি জুড়ে আঁখিপাত,
এই হাতে ওই হাত আর কভু বন্দী না হবে,
শিরা জুড়ে বওয়া লহু তোর শিরা কভু নাহি ছোঁবে!
বুক জুড়ে হাহাকারে ঢুকরে কেঁদেছে হাসি,
জল তবু জমেনিকো তোর পানে চেয়ে থাকা চোখে।
বলতে চেয়েছে কিছু ব্যথায় কোঁকানো মুখ
ঠোঁট তবু বলেনিকো মন কথা মন দিল রেখে,
বন্দী করেছি মনে শেষ বার দুই চোখে চেখে।
শুধু মন জানে একা একা সখা ভেবে করিনিকো ভুল;
আর জানি ওই চোখে আমাকে খুঁজতে গিয়ে
ভুল করে ভুল দেখে গুনবে ফি-দিন সে মাশুল!
সেদিন দুপুর রোদে তাপ খেয়ে তেতে ওঠা মন,
শব্দের কাছে হেরে, বলেছিলো এতদিন তোর দিকে চেয়েছিল শ্যোন।
যা ছিল না চলে যাক পুড়ে খাঁক বাসি অনুভূতি,
ওই চোখে ডুব দিয়ে ডুবে যাক করুক গে মরনের হুতি।
“আর কভু পিছু ফিরে থাকিস না তাকিয়ে তুই, ভুলে যা ছিল যা হাবিলাষ”;
হত মনে মন জুড়ে একথা গুঞ্জে ওঠে; তবু মনে অতৃপ্তি রবে,
শিরা জুড়ে বওয়া লহু তোর শিরা আর কভু আয়োজনে এমনি না ছোঁবে!