:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ১১৬ মিলিমিটার অতি ভারী বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বিকেল ৩টা থেকে রেমালের কেন্দ্র অতিক্রম শুরু হওয়ায় বৃষ্টি আরও বাড়তে থাকে, যা এখনও অব্যাহত আছে। সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে দমকা হাওয়া।
সোমবার ভোর থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ঢাকায় ১১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এটি অতি ভারী বৃষ্টিপাত। এরমধ্যে ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এরপর দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
অতিবৃষ্টির কারণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ২৪০ মিলি, কক্সবাজারে ১৩৯, পটুয়াখালীতে ১২১, খেপুপাড়ায় ১০২ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানায়, মঙ্গলবার থেকে ধীরে ধীরে সিলেট হয়ে বাংলাদেশ থেকে বেরিয়ে যাবে রেমাল। এত কমে আসবে বৃষ্টির দাপট।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল শক্তি হারিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি বিকেল ৩টা নাগাদ ঢাকার ওপর দিয়ে অতিক্রম করবে। এসময় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিপাত হবে। তবে এটি তেমন কোনও প্রভাব ফেলবে না। একইসাথে আগামীকাল সকালের পর থেকে ঢাকার আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে পারে বলেও জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ায় রাজধানীর মিরপুর, উত্তরা, কুর্মিটোলা, বারিধারা, মোহাম্মদপুর ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় গাছ উপড়ে পড়া এবং কিছু জায়গায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ার খবর পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তারা আরও জানায়, ভেঙে পড়া সেসব গাছ ও ডাল অপসারণে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাজ করছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী- কোনও অঞ্চলে ২৪ ঘণ্টায় ১-১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতকে হালকা, ১১-১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতকে মাঝারি, ২৩-৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতকে মাঝারি ধরনের ভারী, ৪৪-৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতকে ভারী এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাতকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হিসেবে গণ্য করা হয়।