:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় হাইল্যান্ড পাপুয়া প্রদেশে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শুক্রবার (২১ জুন) সকালে দেশটির আবহাওয়া, জলবায়ুবিদ্যা ও ভূপদার্থবিদ্যা সংস্থা ভূমিকম্পের ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে।
সংস্থাটির মতে, স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১১ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়। এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলটি ইয়ালিমা রিজেন্সি থেকে ৬৮ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব ও ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭৮ কিলোমিটার গভীরে অবস্থিত।
তবে, কোনো ধরনের সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়নি। আশা করা হচ্ছে, এ ভূমিকম্পের ফলে সমুদ্রে বড় ধরনের ঢেউয়ের সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা নেই।
প্রাদেশিক আবহাওয়া সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ক্যারোলিন সিনহুয়াকে জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে কর্মকর্তারা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো থেকে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনো খবর পাননি।
ইন্দোনেশিয়া একটি দ্বীপপুঞ্জ; যা ভূমিকম্পের দিক থেকে সক্রিয় ‘প্যাসিফিক রিং অব ফায়ারে‘র ওপর অবস্থিত; যা এটিকে একটি ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত করেছে।
ইন্দোনেশিয়ায় গত ২ দশকের কিছু প্রাণঘাতী ভূমিকম্প
২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ফলে, ১.৫ মিটার সুনামি হয় এবং ৪ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর সুমাত্রায় ৯ দশমিক ১৫ মাত্রার ভূমিকম্পের ফলে সুনামি সৃষ্টি হয়। যা ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত, শ্রীলঙ্কায় এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য অনেক অনেক দেশে আঘাত হানে। এতে অনেক গ্রাম ও পর্যটন দ্বীপ ধ্বংস হয়ে যায় এবং প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার নিহত বা নিখোঁজ হন।