:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সন্তান হিসেবে সকল প্রকার কোটা বিলুপ্তি চান সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা ও ডাক্তার রহমতুল্লাহর নাতি ওবায়দুর রহমান গিয়াসী পরশ।
পরশের নানা ডা. রহমতুল্লাহ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় একজন আওয়ামী নেতা ছিলেন। তিনি পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। যুদ্ধে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা দেবার মুহূর্তে বোমার আঘাতে শহীদ হন তিনি। দেশ স্বাধীন হবার পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবর রহমান নিজ হাতে চিঠি লিখেন ডা. রহমতুল্লাহর স্ত্রীকে। মুক্তিযোদ্ধা হয়েও এই পরিবার কোনদিন এই সনদ কখনও কোথাও ব্যবহার করেনি। ২০১৮ সালে কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় কোটাবিরোধী ও কোটাধারীদের মারামারি টিভিতে দেখে ডা. রহমতুল্লাহর স্ত্রী ও পরশের নানু অনেক আফসোস করে বলেছিলেন ‘যারা দেশ স্বাধীন করেছে তারা নিজের মন থেকে করেছে। দেশ থেকে কোন সুবিধা নেয়ার জন্য না।’
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ডা. রহমতুল্লাহর নাতি পরশ বলেন, ” ১৯৭১ এ দেশকে কোটাসহ সকল বৈষম্য থেকে মুক্তি দিয়ে সবার জন্য সমান সুযোগ সুবিধা করে দিতেই মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধারা আবশ্যই দেশ ও জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তারা অবশ্যই সম্মান পাবার যোগ্য। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও তাদের তৃতীয় প্রজন্মের জন্যও একই সুযোগ সুবিধা মেনে নিতে পারছিনা। মূলত জীবনে কিছু করতে ব্যর্থ যারা, তারাই এখন কোটাকে ব্যবহার করতে চায় নিজেদের ব্যর্থতাকে আড়াল করতে। ইদানীং এদের কার্যকলাপে নি:স্বার্থভাবে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারবর্গ বিব্রত বোধ করছে। তাই আবারও বলছি একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে সকল প্রকার কোটার বিলুপ্তি চাই। যদি রাখতেই হয় সেটি শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখা হোক।”