:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায়-দফায় সংঘর্ষে রাজধানীর শনির আখড়ায় ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ সময় যাত্রাবাড়ী টোল প্লাজায়ও আগুনের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের সময় পুলিশের শটগানের গুলিতে দুই বছরের শিশু রহিত ও তার বাবা বাবুল হোসেনকে গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অপর আহত মাহিম আহমেদ পিয়াস (১৫) জানায়, সে দনিয়ায় ব্রাইট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। বিকেলে কোচিং শেষ করে বাসায় ফিরছিল। তখন শনির আখড়ায় সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গেলে শটগানের গুলিতে সে আহত হয়।
আহত বাকি তিনজন হলেন-মনিরুল ইসলাম (২০), ফয়সাল (৩০) ও সোহাগ (২৫)। তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলি লেগেছে।
হাসপাতালে আহত শিশু রোহিতের মা লিপি আক্তার জানান, তাদের বাসা শনির আখড়ায়। পাঁচতলা একটি বাড়ির নিচতলায় থাকেন তারা। তাদের বাসার সামনের রাস্তায় কোটা আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। এদিকে শিশুটি গরমের কারণে কান্নাকাটি করতে থাকায় তার বাবা তাকে কোলে নিয়ে বাসার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন শটগানের গুলি এসে শিশুটির বাবার মুখ, বুকসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাগে। এ ছাড়া কোলে থাকা শিশুর ডান হাতে এবং বুকে লাগে। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দখলে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। সকাল ১০টা থেকে সর্বশেষ রাত সোয়া ১১টা পর্যন্ত সড়ক তাঁদের দখলে রয়েছে। শনির আখড়া থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত শত শত আন্দোলনকারী অবস্থান নিয়েছেন। শনির আখড়ার রাস্তায় এখনো আগুন জ্বলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সকাল ১০টা থেকে শনির আখড়ায় দনিয়া কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয় কলেজের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। তবে সন্ধ্যার সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলতে থাকে। রাত ১১টা পর্যন্ত একই অবস্থা চলছিল।