:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৪ আগস্ট) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পল্টন থানায় করা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (১৪ আগস্ট) রাতে ডিএমপির মিডিয়া শাখার এডিসি ওবায়দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৬ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালানোর সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পলককে আটক করা হয়। সে সময় তাকে হেফাজতে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে গ্রেফতারেরর কথা জানায় পুলিশ। তখন ডিএমপির একটি খুদে বার্তায় বলা হয়েছিল, নৌপথে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদেরকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে গত ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে মো. শাহজাহান নামে একজন দোকানদারের নিহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে (সিএমএম) হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ। শুনানি নিয়ে আদালত দুই জনেরই ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ সময় আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানের বিচার চেয়ে ঢাকার সিএমএম আদালত চত্বরে আইনজীবীরা মিছিল করেন। আদালতে সেনা ও বিজিবি সদস্যরা অবস্থান নেন। এ সময় পুলিশের প্রিজন ভ্যানের সামনে চড়ে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে দেখা যায় আইনজীবীদের। এরপর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের আদালতের গারদখানায় রাখা হয়। বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে প্রিজনভ্যানটি ভেতরে ঢোকাতে বেশ বেগ পেতে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। প্রিজনভ্যান লক্ষ্য করে এসময় ডিম নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর মূলত মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতারা আত্মগোপনে চলে যান।