:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর গুলশান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম বিভাগ থেকে পাঠানো একটি খুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তফা আলমগীর রতন বলেন, রাশেদ খান মেননকে তার বনানীর বাসা থেকে বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে ডিবি পরিচয়ে সাদা পোশাকের লোকজন আটক করে নিয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টি। আওয়ামী লীগ আমলে তিনি প্রথমে বেসরকারি বিমান পরিবহন মন্ত্রী এবং পরে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় সম্প্রতি দায়ের করা কয়েকটি মামলায় মেননকে আসামি করা হয়েছে।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হবার পর রাশেদ খান মেননের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। আজও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে মেননের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা হয়েছে। এর আগে গত ১৯ আগস্ট বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে আইনজীবী জিয়াউল হক বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন। পরে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ২০২২ সালের ৩ অক্টোবর চ্যানেল আইয়ের টকশোতে জিয়াউর রহমানকে রাজাকার এবং যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিহিত করেন। গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি সেমিনারে বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি ছিলের মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রবেশকারী।
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৩ সালের ১৯ জুলাই ভিন্ন অনুষ্ঠানে হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেনন জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। এছাড়া আসামিরা বিভিন্ন সময়ে জিয়া পরিবার নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করেন।