:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যা মামলায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মেননকে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দারের আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবী ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী। তিনি বলেন, আন্দোলনের সময় গণভবনে ১৪ দলের নেতা হিসেবে রাশেদ খান মেনন, ইনুরা ছিলেন। তারা সেখানে যেকোনোভাবে এই আন্দোলন ঠেকানোর কথাও বলেছেন। তারা স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে আন্দোলন প্রতিহত করতে বক্তব্য দিয়ে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন।
রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবী ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী। তিনি বলেন, আন্দোলনের সময় গণভবনে ১৪ দলের নেতা হিসেবে রাশেদ খান মেনন, ইনুরা ছিলেন। তারা সেখানে যেকোনোভাবে এই আন্দোলন ঠেকানোর কথাও বলেছেন। তারা স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে আন্দোলন প্রতিহত করতে বক্তব্য দিয়ে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন।
অন্যদিকে মেননের পক্ষের আইনজীবী বলেন, আসামি অসুস্থ। তাকে রিমান্ডে না নিয়ে জামিন দেন। তার চিকিৎসা দরকার।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রাশেদ খান মেননের ৫ দিনের রিমান্ডে মঞ্জুর করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে রাশেদ খান মেননকে গ্রেফতার করা হয়। নিউমার্কেট থানার ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি। দলটির প্রধান মেনন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রথমে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এবং পরে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ছিলেন। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় সাম্প্রতিক কয়েকটি মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে।
আন্দোলন চলাকালে মিরপুরে এক শিক্ষার্থীকে হত্যার ঘটনায় আরেক মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি রাশেদ খান মেননের বিরুদ্ধেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা পড়েছে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে মেননের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর হাকিম সাইফুল ইসলামের আদালতে আরেকটি মামলা করেছেন মো. জিয়াউল হক নামে এক আইনজীবী। এ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুকেও আসামি করা হয়েছে। মানহানির অভিযোগে বিবাদীদের কাছে ৩০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ২০২২ সালের ৩ অক্টোবর চ্যানেল আইয়ের টকশোতে জিয়াউর রহমানকে রাজাকার এবং যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিহিত করেন। গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি সেমিনারে বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি ছিলের মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রবেশকারী।
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৩ সালের ১৯ জুলাই ভিন্ন অনুষ্ঠানে হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেনন জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। এছাড়া আসামিরা বিভিন্ন সময়ে জিয়া পরিবার নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করেন।
সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-২ আসন থেকে (উজিরপুর-বানারীপাড়া) তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।