বিসিবি থেকে পদত্যাগ করলেন খালেদ মাহমুদ সুজন

■ ক্রীড়া প্রতিবেদক ■

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক পদ থেকে খালেদ মাহমুদ সুজন পদত্যাগ করেছেন। বুধবার বিসিবির একটি সূত্র খবরটি নিশ্চিত করেছে।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী নাগরিক নিউজকে খালেদ মাহমুদ সুজনের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০১৩ সালে নির্বাচনে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে হারিয়ে বিসিবি পরিচালক হয়েছিলেন সাবেক এই অধিনায়ক। ১১ বছর ক্রিকেট বোর্ডে দায়িত্ব পালনের পর সরে দাঁড়ালেন তিনি।

দায়িত্ব ছাড়ার আগে দীর্ঘদিন তিনি বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর সময় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছে। এ বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জিতেছে যুবাদের দলটি।

সুজন ২০০৬ সালে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। তবে ক্রিকেটের সঙ্গেই ছিলেন তিনি। এরপর কাজ করেন কোচিংয়ে। জাতীয় দলের সহকারী ও হেড কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন। লম্বা সময় ধরে বোর্ড পরিচালকের পদে ছিলেন।

বোর্ড পরিচালক পরিচয় ছাড়াও সুজন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী লিমিটেডের প্রধান কোচ। বিপিএলে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির কোচিংয়ের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এছাড়া রাজশাহীতে বাংলা ট্র্যাক একাডেমির দায়িত্বেও আছেন টাইগারদের সাবেক এই অধিনায়ক। 

বাংলাদেশে বড় টুর্নামেন্ট এলেই একজন টিম ডিরেক্টর পাঠানো হয় দলের সঙ্গে। সেটা বেশিরভাগ সময় হয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজনই। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপেও এই দায়িত্বে ছিলেন তিনি। 

তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ উঠেছে। তিনি বিসিবির পরিচালকের পদে যেমন ছিলেন, তেমনি দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ছিলেন আবার কোচিং করিয়েছেন বিপিএল ও ডিপিএলে। 

বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়লেও পরিচালক পদে এখনও বহাল আছেন নাজমুল হাসান পাপন। রাজনৈতিকভাবে ব্যাকফুটে চলে যাওয়ায় তিনি এমন সিদ্ধান্ত নেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাবার পরপরই আত্মগোপনে চলে যান পাপন। তার পদত্যাগের পর বিসিবির নতুন সভাপতি হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ।

পরিচালক জালাল ইউনুস পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া নাঈমুর রহমান দুর্জয় বোর্ড থেকে সরে গেছেন। শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলও বোর্ড পরিচালকের পদ ছেড়েছেন। অসুস্থতা দেখিয়ে ছুটি নিয়েছেন দুই পরিচালক মনজুর কাদের ও এনায়েত হোসেন সিরাজ। তারই অংশ হিসেবে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সুজন বোর্ড থেকে সরে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *