■ ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ■
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা সীমান্তে গুলিতে নিহত শ্রী জয়ন্ত কুমার সিংয়ের (১৫) লাশ দুদিন পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত দেড়টার দিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা সীমান্তের ৩৯৩ নম্বর পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে জয়ন্তের লাশ ফেরত দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর জয়ন্তের লাশ ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কালক্ষেপণ করে রাত দেড়টার পর বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা সীমান্তের ৩৯৩ নম্বর পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে লাশটি ফেরত দেয়। পরে বিজিবি ও পুলিশ নিহত জয়ন্তের পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তর করে। মরদেহ ফেরতের পরপরই রাত আড়াইটার সময় জয়ন্তের শেষকৃত্য সম্পাদন করা হয়।
লাশ ফেরত ও সৎকার সম্পন্ন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বালিয়াডাঙ্গী থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ কবীর। তিনি বলেন, বিএসএফের কাছ থেকে জয়ন্তের লাশ ফেরত পাওয়ার পর পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হলে রাতেই তারা সৎকার সম্পন্ন করেন।
মরদেহ ফেরতের সময় বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি তদন্ত দিবাকর অধিকারী, এসআই শামীম, ধনতলা বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলম ও জয়ন্তের চারজন প্রতিবেশী উপস্থিত ছিলেন।
৫০ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজির আহম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জয়ন্তের লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। তারা কথা দিয়েছেন ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটবে না। অবৈধভাবে কেউ সীমান্ত ক্রস করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিবেন। আমরাও তাদের তেমনি আশ্বাস দিয়েছি। যেন দুই দেশের সম্পর্ক ভালো থাকে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে ধনতলা সীমান্তের নিটালডোবা গ্রামের ৩৯৩ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে ১৮ জন অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ভারতের ডিঙ্গাপাড়া বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিতে নিহত হয় শ্রী জয়ন্ত কুমার সিং। আহত হয় তার বাবা মহাদেব ও প্রতিবেশী দরবার হোসেন। পরে সোমবার সকালে জয়ন্তের মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ।
নিহত কিশোর জয়ন্ত কুমার উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ঠুমনিয়া গ্রামের মহাদেবের ছেলে। সে লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। অপর আহত দুজন হলেন কিশোরের বাবা মহাদেব চন্দ্র ও দরবার হোসেন নিটালডোবা গ্রামের বাঠু মোহম্মদের ছেলে।
এ ঘটনায় সোম ও মঙ্গলবার দুই দেশের বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার ও ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে কমান্ডারদের চারটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সীমান্ত হত্যার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানায় বিজিবি।