■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
দুর্গাপূজার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সারা দেশে ৩২ হাজার ৬৬৬টি পূজামণ্ডপে দুই লাখ ১২ হাজার ১৯২ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে।
আগামী ৬ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত মোট আটদিন এই আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে আনসার মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব সুষ্ঠুভাবে ও আনন্দমুখর পরিবেশে উদযাপন করা সম্ভব হবে। এজন্য দেশের সব নাগরিককে এই সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সময়োচিত তথ্য প্রদানের মাধ্যমে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখতে সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সব নিরাপত্তা সংস্থার মূল্যায়নের ভিত্তিতে নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় পূজামণ্ডপগুলোতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ এবং সাধারণ হিসেবে আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। অধিক গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপগুলোতে ৮ জন এবং গুরত্বপূর্ণ মণ্ডপে ৬ জন ও সাধারণ মণ্ডপে ৬ জন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হবে। এছাড়া বিশেষ বিবেচনায় অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপের মধ্য থেকে ১৫ হাজার ৩২টি মণ্ডপে ৫৩ হাজার ১৪৮ জন আনসার-ভিডিপি সদস্য ৬ ও ৭ অক্টোবর থেকে কাজ করবে।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মাঠপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, অনেক পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়নি। সেসব পূজামণ্ডপে আনসার সদস্যরা অধিকতর গুরুত্ব সহকারে দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পূজামণ্ডপের আশেপাশে এবং পূজামণ্ডপে কোনো ঘটনা ঘটলে যেন সঙ্গে সঙ্গে তা ভিডিও করে সদরদপ্তরে পাঠানো হয় সে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এসব ভিডিও সংগ্রহ করে গুজব রুখে দেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তর থেকে ইতোমধ্যে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী, আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য, আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা কমিটি এবং নাগরিক কমিটির সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সম্পন্ন হয়েছে।
নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় পূজামণ্ডপগুলোতে ‘অধিক গুরুত্বপূর্ণ’, ‘গুরুত্বপূর্ণ, এবং ‘সাধারণ’—এই তিন ভাগে ভাগ করে আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এ ছাড়া, ৬৪ জেলায় যেকোনো আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যাটালিয়ন আনসারদের ৯২টি টিম মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। প্রতিটি টিমে থাকবে ছয়জন করে সদস্য।
স্ট্রাইকিং ফোর্স টিম ৬ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত নিয়মিত নিরাপত্তা টহলের মাধ্যমে পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা সমন্বয়ে ব্যবস্থা নেবে।
প্রথমবারের মতো মোতায়েনকৃত সদস্যদের প্রাপ্য ভাতা পূজা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিতরণ করা হবে। শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের স্বার্থে বাহিনীর সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাড়া অন্যান্য সব সদস্যদের ছুটি নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।