গ্রেফতারের ২ দিন পর জামিনে মুক্ত সাবের হোসেন চৌধুরী

■ নাগরিক প্রতিবেদন ■

গ্রেফতারের দুই দিন পর পৃথক ছয় মামলায় জামিন পেয়ে হাজতখানা থেকে মুক্ত হয়েছেন সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

সাবের হোসেন চৌধুরীর আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন এ কথা জানান। এর আগে আজ পৃথক ছয়টি মামলায় জামিন পান সাবের হোসেন চৌধুরী। তাঁকে গত রোববার ঢাকার গুলশান থেকে আটক করে পরে গ্রেফতার দেখানো হয়।

আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, পল্টন ও খিলগাঁও থানার পৃথক ছয়টি মামলায় সাবের হোসেন চৌধুরীকে আজ বিকেলে জামিন দেন আদালত। পরে সন্ধ্যার সময় আদালতের হাজতখানা থেকে তিনি মুক্তি পান।

পল্টন থানার একটি হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষ না করেই তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে সাবের হোসেন অসুস্থ উল্লেখ করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাচান আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর তার আইনজীবী মোরশেদ আলম শাহীন ছয় মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করেন।রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত খিলগাঁও থানার চার মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া পল্টন মডেল থানার আরেক পৃথক দুই হত্যা মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালত তার জামিন দেন।

গত ৭ অক্টোবর গুলি করে বিএনপিকর্মী মকবুলকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবের হোসেনকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক নাজমুল হাচান। এ সময় আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করে। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী ১৯৯৬ সালে ঢাকা-৬ নির্বাচনী আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। মন্ত্রিসভায় তাকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এর আগে তিনি শেখ হাসিনা সরকারের প্রথম মেয়াদে ৪ জুলাই ১৯৯৬ থেকে ১৯ আগস্ট ২০০১ পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের পূর্ণ সদস্যপদ/টেস্ট মর্যাদা অর্জন করে।

২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত তিনি জেনেভা ভিত্তিক ইন্টার-পার্লামেন্টারী ইউনিয়নের (আইপিইউ) প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী ২০০১-২০০৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। অষ্টম সংসদে তিনি তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সচিব ছিলেন। কিন্তু ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত এক-এগারো সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে তিনি আওয়ামী লীগের সংস্কারপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত পেয়েছিলেন।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *