■ নাগরিক নিউজ ডেস্ক ■
লেবাননের রাজধানী বৈরুত থেকে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্বাস নীলফরৌশনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর বৈরুতের শহরতলিতে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহসহ সশস্ত্র গোষ্ঠীটির আরও কয়েকজন নেতা নিহত হন। একই হামলায় আব্বাস নীলফরৌশনও নিহত হয়েছিলেন বলছে আইআরজিসি।
গত জুলাই মাসের শেষের দিকে ইরানের রাজধানী তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া গুপ্তহত্যায় নিহত হন। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান। কিন্তু এ গুপ্তহত্যা নিয়ে ইসরায়েল এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।
ইসমাইল হানিয়া ও হাসান নাসরুল্লাহর হত্যার জবাবে গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রায় ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইসরায়েল।
সম্প্রতি ইসরায়েল লেবাননে হামলা শুরু করে। বিমান হামলায় নিহত হন ইরানের ঘনিষ্ঠ সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। এতে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কার মধ্যে ইসরায়েলে ১৮০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে তেহরান। এরপর সমীকরণ এক প্রকার ঝুলে আছে।
ইরান বলছে, তারা আর হামলা করতে চায় না। কিন্তু তেলআবিব জবাব দিলে তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রয়েছে। সে সঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমর্থন বাড়ানোর চেষ্টা করছেন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। অপরদিকে সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়াতে পশ্চিমা মিত্রদের থেকে চাপ বাড়ছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর। এমন সময় ইরানি কমান্ডার নিহতের খবর প্রকাশ্যে এলো।
এদিকে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মানবতা আজ কোথায়? ইসরায়েল বেসামরিক নাগরিকদের মেরে ফেলছে। এখনই যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লেবাননের প্রধানমন্ত্রী মিকাতি ইসরায়েলের সঙ্গে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব উত্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ইসরায়েলকে বেসামরিক নাগরিক ও আবাসিক এলাকায় আক্রমণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, গতকালের (বৃহস্পতিবার) হামলায় ১৩৯ জন নিহত হয়েছেন। তারা সবাই বেসামরিক নাগরিক। এটা আর গ্রহণযোগ্য নয়। কোথায় মানবতা? আমরা কোন বাস্তবতায় বাস করছি?