■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) নতুন মহাপরিচালক হয়েছেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। তিনি কুমিল্লায় ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ছিলেন।
সেনা সদরে পদোন্নতির ধারাবাহিকতায় দুই মেজর জেনারেল পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক মো. ফয়জুর রহমানকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল করে সেনা সদরের কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেলের (কিউএমজি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিকে পদোন্নতি পাওয়ার পর চট্টগ্রাম সেনানিবাস জিওসি মো. মাইনুর রহমানকে আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের (আর্টডক) জিওসি করা হয়েছে।
গত ১২ আগস্ট ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান ফয়জুর রহমান। এর আগে তিনি মিরপুরে ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) কমান্ড্যান্ট ছিলেন। ২৩তম বিএমএ লং কোর্সের মাধ্যমে কমিশন পাওয়া ফয়জুর রহমান রংপুরের ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
২৪তম বিএমএ লং কোর্সের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে কমিশন পাওয়া মাইনুর রহমান চট্টগ্রামের আগে কুমিল্লায় ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে ২৪তম বিএমএ লং কোর্সের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে কমিশন পান তিনি। ২০২২ সালে তিনি মেজর জেনারেল হন।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেলের (কিউএমজি) দায়িত্বে থাকা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মজিবুর রহমানকে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত ৬ অগাস্ট আর্টডকে পাঠানো হয়েছিল। আর আর্টডকের জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরীকে বানানো হয়েছিল কিউএমজি।
এক মাসের মাথায় গত ১২ সেপ্টেম্বর তাবরেজকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। মজিবুরকে করা হয় বরখাস্ত। এরপর থেকে দুটি পদই খালি ছিল।
সরকার পরিবর্তনের আগে ডিজিএফআইর মহাপরিচালকের পদে ছিলেন মেজর জেনারেল হামিদুল হক। ১২ আগস্ট ওই পদ হারান তিনি। দুই মাস পর গত ১২ সেপ্টেম্বর তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।