■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
‘এক টাকার খবর’ অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক সাংবাদিক মুন্নি সাহাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে তাকে আটক করে জনতা। পরে তেজগাঁও থানা পুলিশের একটি দল এসে তাকে উদ্ধার করে।
বর্তমানে তিনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে আছেন বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ রুহুল কবীর খান বলেন, কারওয়ান বাজার একাকায় মুন্নী সাহাকে স্থানীয় লোকজন ঘিরে ফেলে। এরপর পুলিশ গিয়ে তাকে তেজগাঁও থানায় নেয়। সেখান থেকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
তেজগাঁও থানার ওসি মো. মোবারক হোসেন বলেন, মুন্নী সাহার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
তেজগাঁও থানা সূত্রে জানা গেছে, কাওরানবাজারে একটি ভবনের নিচে মুন্নি সাহাকে দেখতে পেয়ে আটক করে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। সেখান থেকে তেজগাঁও থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুন্নি সাহাকে থানা থেকে মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
টেলিভিশন সাংবাদিক ও টকশো সঞ্চালক হিসেবে পরিচিত মুখ মুন্নী সাহা। তিনি আজকের কাগজ ও ভোরের কাগজে দীর্ঘ সময় কাজ করার পর একুশে টেলিভিশনে যোগ দেন। এরপর যান এটিএন বাংলায়। সেখান থেকে এটিএন নিউজে যোগ দেন তিনি। ২০২৩ সালের ৩১ মে তিনি এটিএন নিউজ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে ‘এক টাকার খবর’ নামে একটি অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার (১৭) নিহতের মামলায় আসামি মুন্নী সাহা। গত ২২ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় ওই মামলা দায়ের করেন নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মো. কামরুল ইসলাম। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়। পাশাপাশি সাতজন সাংবাদিককেও এ মামলায় আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে একজন মুন্নী সাহা।
টেলিভিশন সাংবাদিক ও টকশো সঞ্চালক হিসেবে পরিচিত মুখ মুন্নী সাহা। তিনি আজকের কাগজ ও ভোরের কাগজে দীর্ঘ সময় কাজ করার পর একুশে টেলিভিশনে যোগ দেন। এরপর যান এটিএন বাংলায়। সেখান থেকে এটিএন নিউজে যোগ দেন তিনি। ২০২৩ সালের ৩১ মে তিনি এটিএন নিউজ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে ‘এক টাকার খবর’ নামে একটি প্লাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হন।
সাংবাদিক মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে গত ৬ অক্টোবর ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চিঠিতে বলা হয়, আপনাদের ব্যাংকে মুন্নী সাহা এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো আমানত, ঋণ, লকার, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, অফশোর ব্যাংকিং হিসাব থাকলে সেসব হিসাবের লেনদেনের তথ্য ৭ অক্টোবরের মধ্যে বিএফআইইউকে পাঠাতে হবে। এ ছাড়া হিসাব খোলার ফরম, টিপি, কেওয়াইসি প্রোফাইল ফরম, শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী ও অন্যান্য দলিলাদির তথ্যও বিএফআইইউকে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয় ওই চিঠিতে।