■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
পোশাক শিল্পে বার্ষিক মজুরি ৯ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, বিস্তারিত আলোচনা শেষে সভাপতি কয়েকটি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এর মধ্যে রয়েছে—বিদ্যমান শতকরা ৫ ভাগ বেতন বৃদ্ধির সাথে আরও শতকরা ৪ ভাগ যুক্ত করে সর্বমোট শতকরা ৯ ভাগ বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধির সুপারিশ করা হলো। নিম্নতম মজুরি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট অর্থাৎ শতকরা ৫ ভাগ বিদ্যমান অবস্থায় অব্যাহত থাকবে। কমিটি কর্তৃক সুপারিশকৃত বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট শতকরা ৪ ভাগ বৃদ্ধি ১ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে, যা জানুয়ারি মাসে প্রদেয় বেতনের সাথে দিতে হবে।
এ ছাড়া বেতন বৃদ্ধির সাথে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সর্বশেষ সংশোধিত) সম্পর্কিত অন্যান্য সুবিধাদিও প্রাসঙ্গিক হবে। এ মজুরি বৃদ্ধি সরকার কর্তৃক পুনর্মূল্যায়ন অথবা নিম্নতম মজুরি বোর্ড কর্তৃক পরবর্তী নিম্নতম মজুরি হার ঘোষণা না করা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, এ মজুরি বৃদ্ধি সরকার থেকে পুনর্মূল্যায়ন অথবা নিম্নতম মজুরি বোর্ড থেকে পরবর্তী নিম্নতম মজুরি হার ঘোষণা না করা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা মালিক পক্ষ ও শ্রমিক পক্ষকে দেশের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান। এক্ষেত্রে পোশাক শিল্পকে বিশ্বমানের পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য শ্রমিকদের অবদানকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহায়ক কমিটির সদস্য এ এন এম সাইফুদ্দিন ও বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের মহাসচিব ফারুক আহাম্মাদ; জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুববিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম; বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতার ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি কবির আহম্মেদ; শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক এস এম এমাদুর হক, নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সচিব রাইসা আফরোজ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক মো. হাসিবুজ্জামান ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান সিকদার।