সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ৮৮ মামলায় গ্রেফতার ৭০

■ নাগরিক প্রতিবেদন ■

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, গত ৫ আগস্ট থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় দেশে মোট ৮৮টি মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শফিকুল আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।

তিনি আরও জানান, ‘সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

শফিকুল আলম আরও জানান, ২২ অক্টোবরের পরের ঘটনাগুলোর আপডেট দ্রুতই দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে মাইনোরিটি রিলেটেড (সংখ্যালঘু) সহিংসতায় ৭০ আসামি গ্রেফতার হয়েছে। এ ঘটনায় ৮৮ মামলা হয়েছে। যারা ন্যক্কারজনক এসব ঘটনায় জড়িত তাদের সবাইকে গ্রেফতার করা হবে, কোনো ছাড় নয়। এ কাজে যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার করা হবে। চট্টগ্রাম, সুনামগঞ্জ ও নরসিংদীর ঘটনায় আপডেট দেব।

তিনি জানান, ৮৮টি মামলার মধ্যে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মামলা হয়েছে ৬২টি। ধর্মীয় পূজামণ্ডপ, উপাসনালয় কেন্দ্রিক সহিংসতায় পুলিশের কাছে সরাসরি রিপোর্ট করা তথ্য অনুযায়ী মামলা হয়েছে ২৬টি। ৬২টি মামলায় গ্রেফতার ৩৫ জন এবং বাকি ২৬টি মামলায় গ্রেফতার ৩৫টি।

গ্রেফতারদের রাজনৈতিক পরিচয় জানা গেছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, কাউরে রাজনৈতিক পরিচয়ে তো গ্রেফতার করা হয় না। যাকে সন্দেহভাজন ধরা হচ্ছে বা অভিযোগ আসছে তাকেই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। ৮৮টি মামলার ঘটনা সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা সম্পর্কিত হলেও আমাদের নজরে এসেছে অনেকগুলো ক্ষেত্রে এমন হয়েছে যে তাদের কেউ আগের ক্ষমতাসীন দলের সদস্য ছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি হয়তো সংখ্যালঘু। রুলিং পার্টির সদস্য ছিল তার ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। এটাকে আপনারা কীভাবে মূল্যায়ন করবেন, উনি কী রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে আক্রমণের শিকার হয়েছে নাকি সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে। এক্ষেত্রে তার রাজনৈতিক পরিচয় মুখ্য নাকি সম্প্রদায়ের বিষয়টি। তবে, যাইহোক যেহেতু সহিংসতা ঘটেছে এজন্য আমরা মামলা করেছি। আমরা এ বিষয়টি সিরিয়াসলি নিচ্ছি।

শফিকুল আলম বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আগামী বছর আন্তর্জাতিক সম্মেলন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী বছরের সেপেম্বর-অক্টোরের দিকে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এর ভেন্যুসহ অন্যান্য বিষয়গুলো মার্চ-এপ্রিলের দিকে ঠিক করা হবে। আশা করছি  এই সম্মেলনটা হবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে।

এদিকে, গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধ ধর্মের শীর্ষ নেতারা বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক কোনো বিভেদ নেই। তারা বলেন, এখানে সব ধর্মের মানুষ সুখে-শান্তিতে আছেন।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *